মঙ্গলবার, ১৫ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মঙ্গলবার, ১৫ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ মঙ্গলবার, ১৫ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই রবিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি

আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন

চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বিতাড়িত করতে হুমকি-ধমকী ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

জাল দলিল সৃজনের মাধ্যমে জবরদখল করে রেখেছেন কতিপয় ভূমিদস্যু

চট্টগ্রামের পশ্চিম বাকলিয়ার বউ বাজার এলাকার মজিদ সও: মসজিদ সংলগ্ন মৃত মোহাম্মদ আলী এবং মৃত আশরাফ আলীর জমি জবরদখলের প্রতিবাদে এবং ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। সোমবার (১১ মার্চ) বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ভুক্তভোগীদের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন মৃত মো: আলীর মেয়ে মাসুমা বেগম, ছেলে আবু কালাম, আবু সাঈদ, আশরাফ আলীর মেয়ে জাহানারা বেগম, জেরিন এবং জাহানারার স্বামী জাফর প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আমার পিতা এবং চাচা পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ১ কানি ১০ গন্ডা জমির জাল দলিল সৃজনের মাধ্যমে জবরদখল করে রেখেছেন কতিপয় ভূমিদস্যু। তারা আমাদের পৈতৃক বসতভিটায় অবস্থান করতে দিচ্ছে না।

উক্ত ৩০ গন্ডা জমির মধ্যে ২০ গন্ডা জমি আমাদের দাদা মরহুম আলী আহমদ সওদাগর এবং দাদী মরহুমা আম্বিয়া খাতুন ১৮/১২/১৯৫৬ ইং তারিখে আনছুর আলীর ২ পুত্র আব্দুস সালাম এবং নূরুল ইসলামের নিকট থেকে আর.এস রেকর্ডীয় ২৮৪৯ নং খতিয়ানের অধীনে ৩৯৫১ নং দাগে ৭৮৮৬ নং রেজিস্ট্রি পাট্টা দলিল এবং ১৫/১২/১৯৫৬ ইং তারিখে ৭৮৮৭ নং রেজিস্ট্রি কবলা দলিল মূলে খরিদ করেন। এছাড়া অন্য ১০ গন্ডা জমি দাদী আম্বিয়া খাতুন এবং ফুফু মরিয়ম বেগম ২১/০৩/১৯৫৯ ইং তারিখে আর.এস রেকর্ডীয় মালিক মল্লিকা খাতুনের নিকট থেকে ১৪০৩ নং রেজিষ্ট্রি কবলামূলে খরিদ করেন। ফুফুর কোন ওয়ারিশ না থাকায় ফুফুর অংশের মালিক হন আমার পিতা এবং চাচা। এরপর থেকে সম্পূর্ণ ৩০ গন্ডা জমি আমার পিতা এবং চাচা ভোগদখলে স্থিত থাকেন। কিন্তু আমার দাদা-দাদীর কবলাদাতা আব্দুস সালাম এবং নূরুল ইসলামের সুচতুর ভাই নূরুল আলম আর.এস থেকে বি.এস রেকর্ডের সময় জাল দলিলের মাধ্যমে বি.এস খতিয়ান নং ৩১৬১ সৃজন করে উক্ত জমি নিজের নামে রেকর্ড করেন। পরবর্তীতে এই বিষয়ে জানতে পেরে আমার পিতা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে ২০০৪ সালে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত ২০০৮ সালে উক্ত জাল খতিয়ান বাতিলের নির্দেশ দিলে মোহাম্মদ আলী এবং আশরাফ আলীর নামে ৫৫১৭ নং বি.এস খতিয়ান সৃজিত হয়। এরপর সম্পূর্ণ জমি প্লট প্লট করে গিয়াস উদ্দিন, আবুল কালাম, জসীমসহ কতিপয় ভূমিদস্যু নূরুল আলমের নিকট থেকে নামমাত্র মুল্যে খরিদ করেন।

কিন্তু কথিত খরিদা মালিক তথা ভূমিদস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে আমাদেরকে জমিতে প্রবেশ করতে না দিয়ে ২০০৯ সালে প্রভাব খাটিয়ে উক্ত প্লটসমূহে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেন। প্রায় ৬ গন্ডা জায়গায় আমরা ভোগদখলে থাকলেও সন্ত্রাসীরা কথিত রাজনৈতিক নেতার প্রভাব খাটিয়ে এবং মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদের নাম ভাঙ্গিয়ে আমাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। আমাদেরকে উচ্ছেদ করতে প্রতিনিয়ত মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়াসহ গুম-খুনের হুমকি দিচ্ছে।

তাই আমাদের বসতভিটায় যাতে অবস্থান করতে পারি এবং আমাদের বেদখলীয় জমি উদ্ধার করতে পারি সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print