এর মধ্যে শহরে রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার এবং পল্লী এলাকায় আছে ৮ লাখ ২০ হাজার। তবে দেশে সার্বিকভাবে ৩৫ লাখ ৪০ হাজার শ্রম দেওয়ার মতো শিশু রয়েছে। এর মধ্যে শ্রমের বাইরে আছে ১৭ লাখ ৬০ হাজার এবং শ্রমের মধ্যে আছে ১৭ লাখ ৮০ হাজার শিশু।
জাতীয় শিশু শ্রম জরিপ-২০২২ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
এদিকে খাতভিত্তিক শিশু শ্রম জরিপ-২০২৩ এর হিসাব অনুযায়ী দেখা যায় ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে ৫টি খাতে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে ৩৮ হাজার ৮ জন শ্রমজীবী শিশু। এসব শিশু ৪০ হাজার ৫২৫টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
বৃহস্পতিবার(১৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটরিয়ামে প্রতিবেদন দুটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
বিবিএস’র মহাপরিচালক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর তমো পুটিয়ানিন।
অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন খান এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. দীপঙ্কর রায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, বিবিএস’র পক্ষ থেকে আমরা শুধু তথ্য তুলে ধরছি। কিন্তু আমরা এসব তথ্যের মাধ্যমে সমাধানের ইঙ্গিত দিচ্ছি না। আমরা মাঠ থেকে সত্য তথ্য তুলে এনে তা প্রকাশ করছি। সরকার শিশু শ্রম নিরসনে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে শিশু শ্রম নিরসন করা সম্ভব হবে।
শাহনাজ আরেফিন বলেন, বিবিএস সত্য তথ্য দেয়। এর ওপর ভিত্তি করে সরকার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও মূল্যায়ন করবে। আমাদের কাজ হলো মাঠ থেকে বস্তুনিষ্ট তথ্য তুলে নিয়ে আসা। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাই এটি খুব স্পর্শকাতর বিষয়। কিন্তু সব কিছু করতে হলে একটা প্রক্রিয়া দরকার। আমরা আশা করব, এখন দ্রুত কর্মতৎপরতা চালিয়ে নিয়ে দেশ থেকে শিশু শ্রম নিরসন সম্ভব হবে।