শুক্রবার, ১৪ই মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শুক্রবার, ১৪ই মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শুক্রবার, ১৪ই মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রমজান ১৪৪৬ হিজরি

এটাকে বিয়ে বলা যায় না

মুশতাকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে নিয়ে তিশার বাবার চাঞ্চল্যকর বর্ণনা

অশ্লীল ভিডিওর মাধ্যমে জিম্মি করে তিশাকে বাধ্য করে কাবিননামায় স্বাক্ষর করানো হয়েছে

গণমাধ্যম থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সবখানেই আলোচনার শীর্ষে রয়েছে খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশা দম্পতি। রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী  তিশাকে (১৮) বিয়ে করেন ৬০ বছরের মুশতাক। চলমান একুশে বইমেলায় ‘তিশার ভালোবাসা’ নামে এই দম্পতির একটি বই বের হয়। যা নিয়ে মূলত আলোচনা-সমালোচনার শুরু।

এ দম্পতির মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় দুইজনের বয়সের পার্থক্য। তিশার স্বামী মুশতাকের চেয়ে তার বাবা সাইফুল ইসলাম প্রায় আট বছরের ছোট। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় দৈনিক দেশ রূপান্তরের ফেসবুক লাইভে মুখোমুখি হয়েছিলেন সাইফুল ইসলাম। যেখানে উঠে আসে নানা বিষয়।

তিশার বাবা বলেন, ‘এটাকে আমি বিয়ে বলি না। এটাকে বিয়ে বললে ভুল হবে। তাকে (তিশা) ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। একটি অশ্লীল ভিডিওর মাধ্যমে জিম্মি করে তাকে বাধ্য করে কাবিননামায় স্বাক্ষর করানো হয়েছে। আমার মেয়ে তিশা মেডিকেল বোর্ডের সামনে জবানবন্দি দিয়েছে। সে বলেছে যে, তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। অশ্লীল ছবি ও ভিডিও করে তাকে কাবিননামায় স্বাক্ষর করতে বলে। সে রাজি না হলে তাকে বলে এগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হবে, টিসি দিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেয়া হবে। সে (মুশতাক) কাবিননামায় স্বাক্ষর নিয়ে এখন এটাকে বিয়ে হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে।’

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়ে যখন আইডিয়াল স্কুলের মুগ্ধা শাখার দশম শ্রেণির ছাত্রী, তখন বিতর্ক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে তার কুনজরে পড়ে। তখন থেকেই সে (মুশতাক) তাকে ফোন দিয়ে আঁকতে শুরু করে কীভাবে তিশাকে আয়ত্তে নেয়া যায়। আয়ত্তের অংশ হিসেবে তার মেয়েকে আনে আমার মেয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতো। মুশতাকের মেয়ের নাম তন্মিমা। তন্মিমার সঙ্গে আমার মেয়ের বন্ধুত্ব করায়। তারপর মেয়ের বান্ধবীর পেছনে টাকা খরচ করতে থাকে।’

তিশার বাবা আরও বলেন, ‘মুশতাক একদিন এক ছেলেকে ভাড়া করে। ভাড়া করা ওই ছেলেকে আমার মেয়ের বয়ফ্রেন্ড বানায়। এরপর ওই ছেলেকে দিয়েই ছবি তোলায় মুশতাক। এভাবে অন্তত ১০/১২ জনের সঙ্গে আমার মেয়ের অশ্লীল ছবি তুলে সে। তারপর ওই ছবিগুলো দিয়েই তাকে ব্ল্যাকমেইল করে। বিয়ের কাবিননামায় সাক্ষর দিয়েছে মুশতাকের বাসার কাজের লোক।’

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মতিঝিল আইডিয়াল কলেজের রুমের মধ্যে আমার মেয়েকে কোলে নিয়ে নাচে মুশতাক। এই দায়ভার কলেজের প্রিন্সিপালও এড়াতে পারবে না। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কীভাবে এসব কাজ হয়। মুশতাক প্রিন্সিপালের ভালো বন্ধু। তাই প্রিন্সিপাল থেকে সে সহযোগিতা নেয়। তখন প্রিন্সিপাল আমার মেয়েকে ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে যায় তার রুমে। এভাবেই আমার মেয়েকে তারা ফাঁসায়।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print