Search

শনিবার, ২৫শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ২৫শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ২৫শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২রা জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন হাদুমাঝি পাড়া এলাকায় দিন-দুপুরে চলছে পুকুর ভরাট

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরীতে চলছে পুকুর ভরাটের মহোৎসব। পরিবেশ আইন উপেক্ষা করে একের পর এক পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। এসব পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে বাড়িঘর ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি পানির সংকটে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তৌহিদ

নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ৭ নং ওয়ার্ডস্থ হাদুমাঝি পাড়া( মাঝির দোকান) এলাকার সাবের মাস্টার বাড়ীর একমাত্র পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে। এই পুকুর ভরাটে একটি স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ঘনবসতি এলাকার এই পুকুরটি ভরাট করার কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

আনোয়ার

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাবের মাস্টার বাড়ীর একমাত্র পুকুরটির পরিমাপ প্রায় ৪-৫ গন্ডা। স্বার্থান্বেষী মহলটি দীর্ঘদিন ধরে পুকুরটি কৌশলে ভরাটের চেষ্টায় লিপ্ত। এতদিন পুকুরের পাড় ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করলেও এখন সম্পূর্ণ পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে। জানা যায়, এই পুকুরটির পূর্বের মালিক প্রায় ৩০ জন হলেও বর্তমানে ক্রয়সূত্রে মালিক মৃত হানিফের ছেলে তৌহিদ এবং মো: ফারুকের ছেলে আনোয়ার হোসেন পুকুরটি ভরাট করতেছে। এলাকাবাসীরা জানান, অন্যান্য পুকুরগুলোতে নর্দমার পানি ঢুকে নোংরা হয়ে গেলেও এই পুকুরে নর্দমার পানি ঢুকার সুযোগ না থাকায় পানি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। তাই এই পুকুরের পানি ব্যবহারের সুযোগ ছিলো। এছাড়া এলাকার কয়েকটি অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণে এই পুকুরের পানি ব্যবহার করে সন্তুষ্টির কথাও জানান তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন এলাকাবাসী জানান, প্রবাসী মওলা, হাসান, তৌহিদ, সিরাজ এবং পেয়ারসহ ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে গত ২৩শে ফেব্রুয়ারী এই পুকুরটি ভরাট করার ব্যাপারে অভিযোগ প্রদান করা হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি টিম পরিদর্শন করে অজানা কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এই পুকুরটির ভরাট কার্যক্রম বন্ধ করে দ্রুত সংস্কারের দাবিও জানান তিনি।

পুকুর ভরাটের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন প্রকার অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তৌহিদ বলেন, অন্য মালিকরা ভরাট করছে তাই আমিও ভরাট করতেছি। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে নোটিশ দিয়ে ১৪ ডিসেম্বর হাজির হতে বলেছেন, যদি মাটি উত্তোলন করে ফেলতে বলে তাহলে আমি মাটি উত্তোলন করবো।পুকুর ভরাটের ব্যাপারে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, পুকুর ভরাটের বিষয়ে আমার করার কিছু নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের নিকট অভিযোগ প্রদান করলে প্রতিকার পাওয়া যাবে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগর পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে পরিদর্শনের জন্য একটা টিম প্রেরণ করা হয়েছে। যারা পুকুর ভরাট করতেছেন তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে, শুনানির মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print