Search

মঙ্গলবার, ৪ঠা নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মঙ্গলবার, ৪ঠা নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ মঙ্গলবার, ৪ঠা নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ই জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

টাইব্রেকারে কলম্বিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

ক্রীড়া ডেস্ক: নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে ড্র। খেলা গড়াল টাইব্রেকারে। সেখানে আর্জেন্টিনার নায়ক গোলরক্ষক মার্টিনেজ। কলম্বিয়ার তিনটি শট ঠেকিয়ে দিলেন তিনি। সে সঙ্গে ৩-২ গোলে কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পৌঁছে গেলো লিওনেল মেসির দল আর্জেন্টিনা। ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ হলো আর্জেন্টাইনরা।

টাইব্রেকারে কলম্বিয়া প্রথম শট নেন কুয়াদ্রাদো। ঠেকাতে পারেননি মার্টিনেজ, গোল ১-০। আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম শট নেন মেসি, দুর্দান্ত শট। চোখের পলকে এটাও গোল, ১-১।

কলম্বিয়ার দ্বিতীয় শট নিতে আসেন ডেভিনসন সানচেজ। বাম পাশে ঝাঁপিয়ে পড়ে সানজের শট ফিরিয়ে দিলেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক মার্টিনেজ। গোল হলো না। ১-১। আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় শট নিতে আসেন রদ্রিগো ডি’পল। খুবেই বাজে শট। বারের ওপর দিয়ে মেরে দিলেন তিনি। গোল হলো না। ১-১।

কলম্বিয়ার তৃতীয় শট নিলেন, ইয়েরি মিনা। আবারো ঝাঁপিয়ে পড়ে মিনার শট ফিরিয়ে দিলেন মার্টিনেজ। গোল হলো না। ১-১। আর্জেন্টিনা তৃতীয় শট নিলেন লিয়ান্দ্রো পেরেডেস। ডেভিড ওসপিনা ঝাঁপিয়ে পড়েও ফেরাতে পারলেন না। গোল। ১-২।

কলম্বিয়ার চতুর্থ শট নিতে আসেন মিগুয়েল বোরজা। এটি ঠেকাতে পারলেন না মার্টিনেজ। গোল। ২-২। আর্জেন্টিনা চতুর্থ শট নেন লওতারো মার্টিনেজ, এটিও গোল হয়ে গেলো। ওসপিনা ঝাঁপিয়ে পড়েও ঠেকাতে পারেননি। ২-৩।

এবার নিজেদের শেষ শট নিতে আসেন কলম্বিয়ার ১০ নম্বর জার্সিধারী ফুটবলার এডউইন করডোনা। তার দুর্বল শটটিও ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দিলেন মার্টিনেজ। শট ঠেকিয়েই জয়ের আনন্দে দৌড় দিলেন মার্টিনেজ।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। আর্জেন্টিনা এবং কলম্বিয়ার মধ্যে খেলার ফল নিষ্পত্তি হলো না। ১-১ গোলে সমতা। যার ফলে ফাইনালের দল নির্ধারণে খেলা গড়াল টাইব্র্রেকারে। কোপা আমেরিকার নিয়ম অনুসারে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা হওয়ার নিয়ম নেই। ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হলো সরাসরি টাইব্রেকার।

প্রথমার্ধে স্রেফ সৌভাগ্যের কারণেই পরপর দু’বার বেঁচে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। দু’বারই বল সাইডবার কিংবা পোস্টে লেগে ফিরে আসে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে এসে আর কলম্বিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ৬১ মিনিটেই গোল হজম করে বসে তারা।

অবিশ্বাস্য একটি গোল করলেন কলম্বিয়ার লুইজ দিয়াজ। এডউইন কারদোনার পাস থেকে বল ধরে গোল পোস্টের বাম পাশে নিয়ে আসেন তিনি। আর্জেন্টিনা ডিফেন্ডার পেজেল্লা সঙ্গে থেকে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলেন। গোলরক্ষক মার্টিনেজের ওপর দিয়ে আলতো টোকায় আর্জেন্টিনার জালে বল জড়িয়ে দেন দিয়াজ।

এর আগে প্রথমার্ধের শুরুতেই মেসির পাস থেকে গোল করে ফেললেন লওতারো মার্টিনেজ। এই ১-০ গোলেই প্রথমার্ধ শেষ করলো লিওনেল মেসি অ্যান্ড কোং।

মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে গোল পেয়ে গেলে প্রতিপক্ষের মনোবলে অনেক বড় চিড় ধরানো সম্ভব। ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনাও বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সে কাজটাই সেরে নিলেন লিওনেল মেসিরা। কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ৭ম মিনিটেই গোল আদায় করে নেয় আর্জেন্টিনা।

কলম্বিয়ার ডিফেন্সিভ হাফ থেকে ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান মেসি। দু’জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তিনি কাট ব্যাক পাস দেন এগিয়ে আসা লওতারো মার্টিনেজের উদ্দেশ্যে। বক্সের মাঝামাঝি বল পেয়ে ডান পায়ের দুর্দান্ত এক শটে কলম্বিয়ার জাল কাঁপিয়ে দেন মার্টিনেজ। ১-০ গোলে এগিয়ে গেলো আর্জেন্টিনা।

তবে আর্জেন্টিনা গোল করে এগিয়ে গেলেও সৌভাগ্য তাদের বলতেই হবে। নিশ্চিতভাবেই দুর্ভাগ্য কলম্বিয়ার জন্য। ৩৬ ও ৩৮ মিনিটে পরপর দু’বার কলম্বিয়ার নেয়া শট এবং হেড সাইডবার এবং ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। একটু এদিক সেদিক হলেই বল প্রবেশ করতো আর্জেন্টিনার জালে।

প্রথমে উইলমার ব্যারিওসের একটি মাটি কামড়ানো শট একেবারে সাইডবার ঘেঁষে চলে যায় বাইরে। আর্জেন্টিনার এক ডিফেন্ডারের গায়ে লাগার কারণে কর্ণার কিক পেয়ে যায় কলম্বিয়া। ৩৮তম মিনিটে সেই কর্নার কিক নেন কুয়াদ্রাদো। তার শট থেকে ভেসে আসা বল লাফিয়ে উঠে হেড নেন ইয়েরি মিনা। কিন্তু এবারও সেই বলটি পোস্টে লেগে ফিরে আসে।

কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়েকে পেনাল্টি শ্যুট-আউটে হারিয়ে করে চলতি কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় কলম্বিয়া। অন্যদিকে, আর্জেন্টিনা শেষ আটে ৩-০ গোলে হারায় ইকুয়েডরকে। এবার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার লক্ষ্যে লড়াই করে আর্জেন্টিনা এবং কলম্বিয়া।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print