প্রভাতী ডেস্ক: ১লা নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা।
১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে জেএসসি পরীক্ষা। অপরদিকে জেডিসি পরীক্ষা চলবে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে জেএসসিতে বাংলা, বাংলা প্রথম পত্র (অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য) এবং জেডিসিতে কুরআন মজিদ ও তাজবিদ বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হয়।
নকলমুক্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গত রোববার থেকে সারা দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও নতুন কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থী ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন। দেশের ২৯ হাজার ৬৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুই হাজার ৯০৩টি কেন্দ্রে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
এবার জেএসসি ও জেডিসির ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬০১ জন ছাত্রী এবং ১২ লাখ ২৩ হাজার ৭৩২ জন ছাত্র। ছাত্রদের চেয়ে এবার ২ লাখ ২২ হাজার ৮৬৯ জন ছাত্রী বেশি। আট বোর্ডের অধীনে এবার জেএসসিতে ২২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৩ জন এবং মাদরাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে ৪ লাখ ২ হাজার ৯৯০ জন পরীক্ষা দিচ্ছে।
গত বছর এই পরীক্ষায় ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এবার এই পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী বেড়েছে ২ লাখ ১ হাজার ৫১৩ জন। এবার জেএসসিতে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৩ জন এবং জেডিসিতে ৩৪ হাজার ২৫১ জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী।
এক থেকে তিন বিষয়ে যারা অকৃতকার্য হয়েছে তারাও এবার ওইসব বিষয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, এই সংখ্যা জেএসসিতে ২ লাখ ৩০ হাজার ৭৮৫ জন এবং জেডিসিতে ৩০ হাজার ৫৪৮ জন। বিদেশের নয়টি কেন্দ্রে এবার ৫৭৮ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় সকল পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বলা হয়। এবারও বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হবে বলে জানা গেছে। পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র, কর্মচারীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
শ্রবণ প্রতিবন্ধী ও অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা এবারও অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাচ্ছে। এ ছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তারা শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। এ ছাড়া অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম এবং সেরিব্রাল পলসিজনিত প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধি এবং শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।