
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ১৮ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০শে মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সরোয়ার জাহান রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংর্ঘষের ঘটনায় ৫৭ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে দুটি মামলা করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এসব মামলায় ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কোতোয়ালি থানায় করা দুটি মামলায় ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। আদালত আগামীকাল বুধবার রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্য করেন।
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুল আনোয়ার সাংবাদিকদের জানান, মামলার কোনো কপি তারা হাতে পাননি। তাই জামিনের আবেদন ও রিমান্ডের শুনানির দিন কাল ধার্য করেছেন আদালত।
আদালতের এজলাসে মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি ও যুগ্ম সম্পাদক আখি সুলতানা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর থানায় আমাদের প্রতি অমানবিক আচরণ করেছে পুলিশ। রোজা রেখে ইফতারের জন্য কোনো পানিও পাইনি। সারা রাত ওড়না পর্যন্ত ছিল না। রাতে শবে বরাতের নামাজ পড়তে হয়েছে ওড়না ছাড়াই।’
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করসহ ৫৭ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়।
সোমবার (২৯ মার্চ) বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে আসা মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ অন্তত ১৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর সন্ধ্যায় পাঁচলাইশ এলাকার বেসরকারি ট্রিটমেন্ট হাসপাতালের নিজ চেম্বার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শাহাদাত হোসেনকে। যদিও এর আগে নিজ দলীয় নারী নেত্রী লুসি খান তার বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার চাঁদা দাবির মামলা করেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন,
চকবাজার থানায় দায়েরকৃত চাঁদাবাজির মামলায় শাহাদাত হোসেনকে ১০ দিন এবং হামলা ও সংঘর্ষের দুই মামলায় অপর ১৫ জনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। একই আদালতে আগামীকাল আবেদন দুটির শুনানি হবে।’