Search

শুক্রবার, ১লা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শুক্রবার, ১লা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শুক্রবার, ১লা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ই সফর ১৪৪৭ হিজরি

উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আইনটি বাতিলের পক্ষে মতামত দেন

শীঘ্রই সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ

এই আইন সংশোধন করলেও মানুষের মনে শঙ্কা থেকে যাবে, তাই বাতিলের বিকল্প নেই

যত দ্রুত সম্ভব সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, এই আইন সংশোধন করলেও মানুষের মনে শঙ্কা থেকে যাবে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধন নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।বর্তমানে এই আইনে মামলা দায়ের হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, এই আইন সংশোধন করলেও মানুষের মনে শঙ্কা থেকে যাবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আইনটি বাতিলের পক্ষে মতামত দেন।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন মানুষের কাছে অনাস্থার জায়গায় থেকেই যাবে। তাই আইন সংশোধন বা নাম রাখাকে সমর্থন করা যায় না। আইনের পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু পরিবর্তন বা সংশোধনের মাঝের সময়টুকুতে এটিকে স্থগিত বা কি করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যাতে করে এ আইনের আওতায় আর একটাও মামলা না হয়।’

সাইবার নিরাপত্তা আইনের নাম বাতিলের আহ্বান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘পুরো আইন ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করায় সাইবার নিরাপত্তা আইনের নামও বাতিলের আহ্বান জানাই।’

প্যানেল আলোচনায় ভার্চুয়ালি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, সংশোধিত (প্রস্তাবিত) সাইবার নিরাপত্তা আইন থেকে মানহানি তুলে দেওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানাই। দণ্ডবিধি থেকেও এটি তুলে দেওয়া উচিত। এছাড়া ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার যে বিষয়গুলো রয়েছে সেসব বিষয়ে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে অনুমোদন নেওয়ার একটি ব্যবস্থা থাকা উচিত। এ বিষয়টি বিবেচনা করা দরকার।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ড. আসিফ নজরুল। সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ইকতেদার আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান, আইনজীবী শিশির মনির, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. নোভা আহমেদ, ব্যারিস্টার আনিতা গাজী, ব্যারিস্টার প্রিয়া আহসান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্যতম ভুক্তভোগী খাদিজাতুল কোবরা, দিদারুল আলম, রেজাউর রহমান প্রমুখ।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print