Search

বৃহস্পতিবার, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বৃহস্পতিবার, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বৃহস্পতিবার, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

ধর্ষণ প্রমাণিত না হলেও তাকে যৌন হেনস্তা ও মানহানির প্রমাণ মিলেছে

যৌন নিপীড়নের দায়ে ট্রাম্পকে ৫০ লাখ ডলার জরিমানা

৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে নিউইয়র্ক সিটিতে এই ঘটনা ঘটে

নিউইয়র্কের ডিপার্টমেন্ট স্টোরে একটি ম্যাগাজিনের কলামিস্টকে যৌন নিপীড়নের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করেছেন নিউইয়র্কের একটি আদালত। ই জিন ক্যারোল নামে ওই নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে ধর্ষণ প্রমাণিত না হলেও তাকে যৌন হেনস্তা ও মানহানির প্রমাণ মিলেছে। খবর বিবিসির।

রায়ে বলা হয়, ই জিন ক্যারলকে যৌন নিপীড়নের পাশাপাশি পরে তাকে মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত ও অপমান করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে নিউইয়র্ক সিটির একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ক্যারল যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন।

ই জিন ক্যারলের অভিযোগ, ১৯৯৬ সালে তাকে ধর্ষণ করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি প্রথম যখন একথা লিখেছিলেন, তখন ট্রাম্প তার মানহানি করেন। মঙ্গলবার (৯ মে) নিউইয়র্ক আদালতের জুরি তার সেই মানহানির অভিযোগ মেনে নিয়েছে। এরপরেই ট্রাম্পকে ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার পর এক লিখিত বিবৃতিতে ক্যারল বলেন, আমার সুনাম ফিরে পেতে এবং আমার জীবন ফিরে পেতে আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। বিশ্ব অবশেষে সত্যটি জানতে পেরেছে। এই বিজয় শুধু আমার জন্য নয়, প্রত্যেক নারীর জন্য।

এদিকে, তাৎক্ষণিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, তিনি ক্যারলকে চেনেন না। তার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়কে ‘লজ্জাজনক’ এবং ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ডাইনি শিকারের ধারাবাহিকতা’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।

ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। যতদিন পর্যন্ত রায়টি আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে, ততদিন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print