Search

বুধবার, ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার, ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বুধবার, ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

আসামিদের আটক, গ্রেপ্তার ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণে সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার ব্যত্যয় হয়েছে

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দুই আসামির রিট আদালত অবমাননা: অ্যাটর্নি জেনারেল

রিটে ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চাওয়া হয়েছে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগ বহাল রাখার পরও হাইকোর্টে রিট করা আদালত অবমাননার সমান।

সোমবার(৮ মে) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তিনি আরও বলেন, আপিল বিভাগ ফাঁসি বহাল রাখার পরও তাদের হাইকোর্টে রিট আদালতকে একরকম অসম্মান করা। এখন আর তাদের কিছুই করণীয় নেই। শুধু তারা এতটুকু করতে পারে যে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।

এর আগে রোববার (৭ মে) দুই আসামির একজনের ভাই ও অপরজনের স্ত্রী ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। তাদের আইনজীবী তাজুল ইসলাম জানান, আসামিদের আটক, গ্রেপ্তার ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণে সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার ব্যত্যয় হয়েছে। তাই এক আসামির ভাই ও আরেক আসামির স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেছেন। রিটে ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

এর আগে ২ মে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ও যাবজ্জীবন দণ্ডিত এক আসামির আবেদন খারিজের রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

আইন অনুসারে এখন রায়টি বিচারিক আদালত হয়ে কারাগারে যাবে। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইতে পারবেন।

৩ মে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছিলেন, এখন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। সেটা খারিজ করে হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।

ড. তাহেরের মেয়ে আইনজীবী সেগুফতা তাবাসুম আহমেদ জানান, রিভিউ খারিজের রায় হাতে পেয়েছি। এটা একটা আশার আলো। এখন আশা করছি অতি দ্রুত কার্যকর হবে।

এর আগে গত ২ মার্চ প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আট বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রিভিউ খারিজ করে দেন।

ফলে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ফাঁসির কাষ্ঠে যেতেই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে তার আগে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। আর যথারীতি যাবজ্জীবন দণ্ডিতদের সাজাভোগ করতে হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print