সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ই জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি

পুরো সেতুর সংস্কার শেষ করতে সময় লাগবে ৬ মাস

আপাতত মেরামত – ২০২৮ সালে কালুরঘাটে নতুন সেতু : রেলসচিব

সেতুর বিকল্প হিসেবে যাতায়াতের জন্য ফেরি চালু করা হবে

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেছেন, জুন মাসে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হবে। পুরো সেতুর সংস্কার শেষ করতে সময় লাগবে ৬ মাস।

তবে সেতুর মূল রেল লাইনের সংস্কার কাজ ৩ মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।

শনিবার (৬ মে) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রেল সচিব বলেন, সংস্কার কাজ চলাকালীন তিন মাস চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। এসময়ে সেতুর ওপর যান চলাচলও বন্ধ থাকবে।

সেতুর বিকল্প হিসেবে যাতায়াতের জন্য ফেরি চালু করা হবে। সেতুতে যান চলাচল বন্ধ থাকলে মানুষের সাময়িক অসুবিধা হবে।

তবে সংস্কারকাজ হয়ে গেলে সেই কষ্ট আর থাকবে না। ২০২৮ সালে নতুন সেতু নির্মাণ হলে দুর্ভোগ দূর হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার রেলপথের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন হচ্ছে। সেপ্টেম্বরে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হবে। নতুন রেলপথ দিয়ে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে পর্যটন শহরে পৌঁছে যাবেন।

মতবিনিময় সভায় কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ নিয়ে তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা। তিনি বলেন, কালুরঘাট রেল সেতুর অবস্থা এত খারাপ, সংস্কার ছাড়া কক্সবাজার পর্যন্ত ভারি ইঞ্জিনের ট্রেন নেওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে এই সেতুতে ট্রেনের গতি ১০ কিলোমিটার। সংস্কারের পর ৫০-৬০ কিলোমিটার হবে। বুয়েট পরামর্শক দলের পরামর্শে সেতু সংস্কার করা হবে। ইতিমধ্যে ঠিকাদার নিয়োগের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ২০ জুন সংস্কার কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। সেপ্টেম্বরে মূল সংস্কার কাজ শেষ হবে। সংস্কার কাজ চলাকালে রেল সেতুতে মানুষের হেঁটে পার হওয়ার জন্য ওয়াকওয়ে রাখা হবে।

সভায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী বলেন, সেতুর বিকল্প হিসেবে নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে। এজন্য দুটি ফেরি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ফেরি রাখা হয়েছে বিকল্প হিসেবে।

এসময় বোয়ালখালী পৌরসভার চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম দুটি ফেরির পরিবর্তে চারটি ফেরি চালুর পরামর্শ দেন। তাঁকে সমর্থন করে বক্তব্য দেন বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমানসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print