Search

সোমবার, ১০ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সোমবার, ১০ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সোমবার, ১০ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

চট্টগ্রামে শাহাদাত-মনিসহ ৬ জনের রিমান্ড নামঞ্জুর, ১১ জনের মঞ্জুর !

এম. জিয়াউল হক: চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন এবং নগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনিসহ পাঁচ নারী নেত্রীর রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

বুধবার (৩১শে মার্চ) অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদ শুনানি শেষে এই আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন , চাঁদা দাবি ও অপহরণের অভিযোগের মামলায় ডা. শাহাদাতের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিলো। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৬ আসামিকে ৭ দিন রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে ১১ পুরুষ আসামিকে ১দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ও ৫ নারী আসামির রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন আদালত। ডা. শাহাদাতকে ডিভিশন দিতে আদেশ দিয়েছেন আদালত। পরে সব আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

মহিলা দলের বাকি যে ৪জন নারী নেত্রীর রিমান্ড নামঞ্জুর হয়ছে তারা হলেন- আঁখি সুলতানা (৪২), দেওয়ান মাহমুদা আক্তার লিটা (৩৫), রিনা বেগম (৪০), ফাতিমা কাজল (৩৫)।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া বিএনপির ১১ নেতাকর্মীরা হলেন- মারুফুল হক (৪০), মো. ফিরোজ (৩৪), তারেক আজিজ (২৪), আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৫), সাঈদ তানজিম মাহমুদ (২০), আব্দুর রহিম প্রকাশ মিনার রহিম (২২), আলী আকবর হোসেন (১৯), লিটন (২২), হায়দার হোসেন (৪১), সাকিব হোসেন (১৯) ও কিং মোতালেব (৪২)।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে আসা মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ায় সংঘর্ষের ঘটে। এতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ অন্তত ১৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।

এরপর সন্ধ্যায় পাঁচলাইশ এলাকার বেসরকারি ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে নিজ চেম্বার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শাহাদাত হোসেন ও তার সহকারী মারুফুল হককে।

পরে বিএনপি নেত্রী লুসি খানের দায়ের করা এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি ও অপহরণ মামলায় ডা. শাহাদাতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং পুলিশ বক্সে হামলা ও ভাঙচুরের অন্য দুই মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print