
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়ি এবং নগর বিএনপি কার্যালয় নাসিমন ভবন এলাকায় পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছে। সোমবার (২৯ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার বিকেল ৩টার সমাবেশে নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয় এবং বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশ শুরু করে। একই সময়ে নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে অপর একটি মিছিল সেখানে এসে শেষ হয় এবং বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশ শুরু করে। এ সময় পুলিশ রাস্তায় সমাবেশে বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এ সময় নাসিমন ভবন সংলগ্ন নুর আহমদ সড়কে একটি মোটর সাইকেলসহ কয়েকটি ভ্যানগাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিএনপির কর্মীরা।
পরে পুলিশ নাসিমন ভবনে অভিযান চালিয়ে নগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, বিএনপি নেতা আখিঁ সুলতানা, দেওয়ান লিটাসহ অন্তত ১৫ জনকে আটক করে। এ সময় ৩টি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।
অন্যদিকে সংঘর্ষের জন্য পুলিশকে দায়ী করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, তাদের ‘শান্তিপূর্ণ’ মিছিলে পুলিশ ‘হামলা’ চালিয়েছে।
তিনি বলেন, “মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাতের নেতৃত্বে একটি মিছিল দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশের সময় পুলিশ মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়। তাতে আমাদের ২০-৩০জন কর্মী আহত হয়েছে। পরে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে বলে জানান বক্কর।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাদের নিরাপদ স্থানে পার্টি অফিসের ভিতরে সভা করতে বলেন। এ নিয়ে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি বিভিন্ন গাড়িতে আগুন দেয় এবং পুলিশের উপর হামলা চালায়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতা করতে গিয়ে হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে করে দলটির কয়েকজন নেতাকর্মী নিহত হয়েছে বলে দাবি করছে হেফাজতে ইসলাম। এছাড়া তাদের ডাকা হরতালেও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আরো ২জন কর্মী নিহত হন বলে দাবি তাদের। এর প্রতিবাদের অংশ হিসেবে সারা দেশে বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়।