Search

সোমবার, ২১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সোমবার, ২১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সোমবার, ২১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

খামারী থেকে ক্রেতার হাতে যেতেই  মুরগির দাম বাড়ে কেজিতে ৩০ টাকা !

নিজস্ব প্রতিবেদক: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মুরগির দাম। খামারি থেকে ক্রেতার কাছে যেতেই মুরগির দাম বেড়ে যাচ্ছে কেজি প্রতি ৩০/৩৫ টাকা। খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। অপরদিকে, পাইকারদের কাছে খামারিরা বিক্রি করছেন কেজি ১৩০/১৩৫ টাকায়।

একাধিক ক্রেতার সাথে আলাপকালে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনার কারণে বন্ধ থাকা নানা সামাজিক অনুষ্ঠান পুরোদমে চালু হওয়ার পরপরই মুরগির দাম বেড়ে গেছে। চাহিদা বাড়লেই দাম বাড়াতে হবে। এটা কোন নিয়ম হতে পারে না। প্রশাসনের উচিত দামটা কি কারণে কারা কিভাবে বাড়াচ্ছে তার খোঁজ নেয়া। তবে মুরগিতে বেশি লাভ করার কথা অস্বীকার করে রিয়াজউদ্দীন বাজার এবং বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারের একাধিক মুরগি ব্যবসায়ী জানান, তারা ব্রয়লার মুরগি কিনছেন কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন ১৬০ টাকায়। অপরদিকে খামারি থেকে পাইকাররা কিনছেন ১৪০ থেকে ১৪২ টাকায়। পরিবহনসহ নানা ব্যয়ের কারণে কেজিতে ১০ টাকা না রাখলে শেষে লাভের মুখ দেখেন না। তাই তারা কেনা দামের চেয়ে ১০ টাকা বেশি রাখেন। এছাড়া বর্তমানে তারা দেশি মুরগি কেজি ৪১৫ টাকায় কিনে ৪৩০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। সোনালী মুরগি ৩৩০ টাকায় কিনে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে মুরগির একদিন বয়সী প্রতিটি বাচ্চার দাম অন্তত ১৫ টাকা বেড়ে গেছে। এখন মুরগির একটি একদিন বয়সী বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। বেড়েছে ফিডের দামও। একমাসের ব্যবধানে প্রতি বস্তা ফিডের দাম ৫০ টাকা বেড়ে গেছে। অর্থাৎ কেজিতে বেড়েছে এক টাকা।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্রিডার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি রকিবুর রহমান টুটুল বলেন, দীর্ঘদিন মুরগির বাচ্চা এবং মুরগির দাম কম থাকার কারণে অনেক হ্যাচারি এবং খামার বন্ধ হয়ে গেছে। দুই টাকায়ও মুরগির বাচ্চা বিক্রি করতে হয়েছে। এমনকি অনেক ডিম ও বাচ্চা নষ্ট করে ফেলতে হয়েছে। যে কারণে চাহিদা অনুযায়ী মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হচ্ছে না। তবে বর্তমানে বাজারে যে দামে মুরগি বিক্রি হচ্ছে এটা যৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, খামারিরা পাইকারদের কাছে মুরগি বিক্রি করছেন কেজি প্রায় ১৩০ টাকায়। গত এক মাস ধরে এই দাম বেড়েছে। বিভিন্ন হাত ঘুরে ক্রেতার কাছে পৌঁছেতে দাম একটু বেড়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকলে ফরিয়ারা বেশি লাভ করতে পারতো না। তাহলে মুরগির দাম আরেকটু কম থাকতো। তিনি জানান, মুরগির বাচ্চার দাম এখন যৌক্তিক পর্যায়ে আছে। কারণ মুরগির খাবারের প্রধান উপাদান ভুট্টার দাম ১৬ টাকা থেকে বেড়ে ২৬ টাকা হয়েছে। অন্যান্য উপাদানের দামও বেড়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print