সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ই জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি

কাউন্সিলর এসরালের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্ম বার্ষিকী পালিত

বক্তব্য রাখছেন মাননীয় মেয়র জনাব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী

এম. জিয়াউল হক: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৪নং ওয়ার্ডের (চান্দগাঁও) কাউন্সিলর ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মো: এসরারুল হক এসরালের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। ১৭ই মার্চ বহদ্দারহাট ওয়াপদা কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন মাননীয় মেয়র জনাব এম.রেজাউল করিম চৌধুরী

অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মাননীয় মেয়র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মেয়র বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্ম বার্ষিকী। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাঙ্গালী জাতীকে মুক্তির তথা স্বাধীন করার স্বপ্ন দেখতেন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, তীতুমীর, প্রিতিলতা, সূর্য সেন, তাজউদ্দীন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ অন্যান্য নেতারাও স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার সাহস কারো মধ্যে ছিলো না। একমাত্র শেখ মুজিবুর রহমানের অসীম সাহসিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়। তাই বঙ্গবন্ধুকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বলা হয়। আমাদের এই দেশকে বিদেশীরা তলাবিহীন ঝুড়ি বলতো। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় মাত্র ১০-১২ বছরে এই দেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় চলে এসেছে। যা দেখে বিদেশিরাও অবাক হয়ে যাচ্ছে।

শিশুদেরকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প এবং সঠিক ইতিহাস বলার অনুরোধ জানিয়ে অভিভাবকদেরকে তিনি বলেন, সন্তানরা ইতিহাস না জানলে দেশপ্রেম সৃষ্টি হবে না। আর দেশপ্রেম না থাকলে একটি দেশ ঠিকে থাকতে পারে না।

উপস্থিতির একাংশ

অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরাল বলেন, আমি প্রতিবছরই বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করি। তবে এইবার একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে এই মহান দিবসটি পালন করতে পারার আনন্দ ভিন্ন। বঙ্গবন্ধু শিশুদেরকে খুব ভালোবাসতেন এবং আজ জাতীয় শিশু দিবস তাই শিশুদের জন্য বেশী কর্মসূচী রয়েছে। এসময় জলাবদ্ধতা ও মশক নিধনে নানা কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ পূর্বক এলাকার উন্নয়নের জন্য এলাকাবাসীর সহযোগীতাও কামনা করেন তিনি। করোনার প্রাদুর্ভাব আবারো বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধও জানান এই তরুণ কাউন্সিলর।

বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ছাড়াও অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বিনামূল্যে ব্লাড গ্রুপিং, শিশু চিকিৎসা , চক্ষু চিকিৎসা এবং ঔষধ বিতরণ। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৩ শতাধিক লোক বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করে। সেবা গ্রহীতারা বলেন, কাউন্সিলর জনাব এসরাল সাহেব এলাকার গরীব -অসহায় মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ। তিনি কাউন্সিলর হওয়ার আগেও মানুষের জন্য এরকম সেবামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ নিতেন সব সময়। আজ উনার বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং ঔষধ বিতরণের কারণে অনেক গরীব অসহায় রোগী চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন।

অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেন লায়নস ক্লাব চিটাগং বেঙ্গল সিটি এবং লিও ক্লাব চিটাগং বেঙ্গল সিটি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print