
প্রভাতী ডেস্ক : চট্টগ্রাম কারাগারের চারতলা ভবন থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যাওয়া হাজতি ফরহাদ হোসেন রুবেলকে অবশেষে কারাগারেই পাঠিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার ( ৯ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে রুবেলকে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হোসেন মোহাম্মদ রেজা।
কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, সোমবার (৯ই মার্চ) সকাল ৭টার দিকে নরসিংদীর রায়পুর থানার আদিয়াবাদ শেরপুর কান্দাপাড়া চরাঞ্চল এলাকায় ফুফুর বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে সিএমপির উপ-কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সন্ধ্যায় নগরের কোতোয়ালী থানায় আয়োজিত ব্রিফিংয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ জানান,গত শনিবার ফরহাদ হোসেন রুবেল প্রথমে কারাগারের কর্ণফুলী ভবনের নিচে নামেন। সেখানে একটি পানির হাউসে চোখে ও মুখে পানি দেন। এরপর ডান পাশের গেইট দিয়ে বেরিয়ে আনুমানিক ১৫০ থেকে ২০০ গজ দূরে নির্মাণাধীন একটি ভবনের ৪ তলায় উঠেন। সকাল আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের সময় ওই ভবনের ৪ তলা থেকে লাফ দিয়ে কারাগারের নিরাপত্তা প্রাচীনের বাইরে আসেন। সেখান থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে যান। পরে রেল যোগে ঢাকা হয়ে নরসিংদী পালিয়ে যান কয়েদি রুবেল।
উল্লেখ্য, শনিবার ভোর থেকে হাজতি রুবেলের সন্ধান না মেলায় দিনভর তল্লাশি করে সন্ধ্যায় জিডির পর রাতে মামলা করেন প্রত্যাহার হওয়া জেলার রফিকুল ইসলাম।
নিখোঁজের ঘটনায় খুলনা বিভাগের ডিআইজি প্রিজন ছগীর মিয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার জেল সুপার ইকবাল হোসেন ও বান্দরবান জেলার ফোরকান ওয়াহিদকে সদস্যও করা হয়। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রির্পোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
ছগীর মিয়া বলেন, কর্ণফুলী ভবনের নিচ তলা দিয়ে বের হয় রুবেল। আরেক সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় রুবেলকে ফাঁসির মঞ্চের পাশের ভবন থেকে সীমানা দেয়ালের বাইরে লাফ দিতে দেখা যায়। ফলে, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে রুবেল কারাগার থেকে পালিয়েছে।