Search

বুধবার, ১২ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার, ১২ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বুধবার, ১২ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

চসিক নির্বাচন: দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘনিয়ে আসছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। শুক্রবার প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ইতোমধ্যে তিন দিনে প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর, হুমকি-ধমকি প্রদান, পোস্টার ছেঁড়া, প্রচারণার গাড়ি ভাঙচুরসহ আচরণবিধি লঙ্ঘনের ৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়েও।

শনিবার(৯ জানুয়ারী) বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রচারণায় হামলার অভিযোগ ওঠে। ডা. শাহাদাতের ব্যক্তিগত সহকারী মারুফুল হক বলেন, ‘ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টায় বাগমনিরাম পল্টন মোড়ে পোস্টার লাগানোর সময় বিএনপির এক কর্মীকে মারধর করা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় পোস্টারসহ অন্যান্য সামগ্রী। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। একই দিন বিকাল ৪টায় ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়ার ওয়াজাইরপাড়ায় ডা. শাহাদাতের নির্বাচনী প্রচারণাকাজে ব্যবহৃত অটোরিকশা ও মাইক ভাঙচুর করা হয়। আহত হন ছাত্রদল কর্মী আহমেদ, যুবদল কর্মী মোহাম্মদ ফারুক ও অটোরিকশাচালক জাকের হোসেন।

সোমবার(১১জানুয়ারী) দুপুরে বহদ্দারহাট বারৈপাড়ায় ৬নং ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান লিটনের ওপর হামলা হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

একইদিন বিকাল পাঁচটায় বাকলিয়ার বাস্তুহারা এলাকায় ৩৫ নম্বর বক্সিরহাট ওয়ার্ড বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী অ্যাডভোকেট তারিক আহমেদ ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়ারা বেগমের গণসংযোগে হামলা হয়। এসব হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে বিএনপি।

শুক্রবার প্রচারণা শুরুর প্রথমদিনে ১ নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন রেজাউল করিম। মেয়র প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী গাজী শফিউল আজিম ও বিদ্রোহী প্রাথী তৌফিক আহমেদ চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে ভীতিকর পরিস্থিতি রূপ নেয়। পরে সাবেক চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে নিবৃত্ত করেন। শনিবার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের নির্বাচনী কার্যালয়ে মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রতিনিধি সভায় শ্রমিক লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষ একে-অপরের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারে। এতে ৩জন আহত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করা নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ-পাল্টা অভিযাগ : ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা পড়েছে ৭টি অভিযোগ। এর মধ্যে ১০ জানুয়ারি রিটার্নিং অফিসারের কাছে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দিয়েছে চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্য পরিষদ। ১১ জানুয়ারি বিএনপি মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে তার নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই এলাকায় ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে তার নির্বাচনী পোস্টার।

একইদিন মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের পক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের অভিযোগ করেন, ‘কাজির দেউড়ি এলাকার বিএনপি কার্যালয় নাসিমন ভবনের পাশে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিমের নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টার ছিঁড়েছে বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের সমর্থকরা।

একইদিন ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইসমাইল কর্তৃক নির্বাচন থেকে সরে যেতে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে এবং নির্বাচনী প্রচার কার্যাক্রমে বিঘ্নতা সৃষ্টি করছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।’

চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘এ পর্যন্ত সাতটি অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print