আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২৯ অক্টোবর সোমবার ইন্দোনেশিয়ার বিধ্বস্থ বিমানের কোন যাত্রীই বেঁচে নেই। সাগরের যেই স্থানে বিমান বিধ্বস্ত হয় তার চারিদিকে এখন ভাসছে বিমানের ধংসাবশেষ ও যাত্রীদের সঙ্গে থাকা পাসপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্র। উদ্ধার অভিযানে যাত্রীদের বিচ্ছিন্ন দেহাবশেষ মিললেও জে.টি-সিক্স ওয়ান জিরো ফ্লাইটের ১৮৯ আরোহীই নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে, পুরো বিমানের ধ্বংসাবশেষ না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় উদ্ধার সংস্থার পরিচালক বামবাং সুরিয়ো আজি বলেন, ‘বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার অনেক ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখন শুধুই বিচ্ছিন্ন দেহাবশেষ আর ধ্বংসাবশেষ মিলছে। এই মুহূর্তে আর কারো জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই।’
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আর কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা প্রত্যক্ষদর্শীদেরও।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন বলেন, ‘হঠাৎ করে বিকট শব্দ শুনতে পেলাম। মনে হলো যেন বোমার বিস্ফোরণ। আমি তখন বিচেই ছিলাম, প্রথমে বজ্রপাত মনে করেছিলাম। কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম বিমান বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।
তবে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় স্বজন হারানোর খবর এখনো অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য। তাদের আশা প্রিয়জনেরা বেঁচে ফিরবে তাদের মাঝে।
দুর্ঘটনার খবর শোনা মাত্রই বিমান বন্দরে চলে আসি আমি। এক কর্মকর্তা জানান বিমানের সঙ্গে গ্রাউন্ডের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কিন্তু পরে শুনি বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। একইসঙ্গে, বিমানের পাশাপাশি ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
জোকো উইদোদো বলেন, ‘উদ্ধার অভিযান তরান্বিত করতে রাত দিন কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা বিমানের অবস্থান ইতোমধ্যে সনাক্ত করেছি। এটি উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এদিকে, ২০১৭ সালে নির্মিত বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন মডেলের নতুন এই বিমানটি বিধ্বস্তের ঘটনায় দেশটির বিমান পরিবহনের নিরাপত্তা নিয়ে আবারো প্রশ্ন উঠেছে। সোমবার দুর্ঘটনায় কবলিত বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়েই আকাশে উড়েছিল বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি। বিমানের টেকনিক্যাল লগ শিটের তথ্য মতে, দুর্ঘটনার আগের দিন বিমানটি বালি থেকে জাকার্তায় ফ্লাইট পরিচালনা করে। সেসময়ের টেকনিক্যাল লগ শিটে ঐ বিমানের কোন একটি যন্ত্রাংশের ত্রুটি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।