নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার পাঠানটুলির গায়েবি মসজিদ এলাকায় নিজ বাসায় মা ও মেয়ে খুন হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডবলমুরিং থানা পুলিশ স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতরা হলেন- হোসনে আরা বেগম (৫০) ও তার মেয়ে পারভিন আক্তার (২২)।
নিহত হোসনে আরার ছেলে সোহেল (২০) দাবি করেন, ভগ্নিপতি মতিন তাঁর মা ও বোনকে হত্যা করে পালিয়েছেন। সোহেল বলেন, স্থানীয় এক বেকারিতে তিনি কাজ করেন। স্ত্রী ও মাকে নিয়ে তিনি এক কক্ষে ভাড়া থাকতেন। স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় মাস দুয়েক আগে স্ত্রীর বাবার বাড়ি গেছেন। মা একাই ছিলেন কক্ষে। পাশের কক্ষে ভাড়া থাকতেন বোন পারভীন ও তাঁর স্বামী মতিন। দেড় বছর আগে রিকশাচালক মতিনের সঙ্গে পারভীনের বিয়ে হয়। মতিনের বাড়ী কুমিল্লায়।মতিন নির্যাতন করার কারণে তাঁর বোন এখানে চলে আসেন। দেড় মাস আগে মতিন এসে আর মারধর করবেন না জানিয়ে এখানে বসবাস শুরু করেন।’
সোহেল জানান, গতকাল সোমবার রাতে তিনি কারখানায় ছিলেন। সকাল ১০টার দিকে বাড়ি এসে বিছানার ওপর মাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি চিৎকার শুরু করলে আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে আসে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে পাশে পারভীনের কক্ষটি তালাবদ্ধ দেখতে পায়। তালা ভাঙার পর দেখা যায়, বিছানায় পারভীনেরও লাশ পড়ে আছে।
আশপাশের বাসিন্দারা জানান, গতকাল রাতে পারভীন ও মতিনের মধ্যে প্রচণ্ড বাগবিতণ্ডা শুনেছেন তাঁরা।
ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন বলেন, মা–মেয়ের গলায় দাগ দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, ঘুমের মধ্যে শ্বাসরোধে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে মতিনকে খুঁজে বের করা হবে বলে তিনি জানান। মা-মেয়ের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিউদ্দিন সেলিম মা ও মেয়ে খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাসা থেকে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছি। তাদের খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে তাদের খুন করেছে, এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।’