
প্রভাতী ডেস্ক : আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ইউটিউবের স্থানীয় (দেশের) সব চ্যানেল নিবন্ধনের আওতায় আনার কথা ভাবছে সরকার। সেই সঙ্গে ইউটিউব চ্যানেলের কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ ও তদারকিও করা হবে।
মঙ্গলবার(৮ই সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান কমিটির প্রধান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ওই বৈঠক চলে।
বৈঠকে ইউটিউব চ্যানেলের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ইউটিউব ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ঢাকায় একটি অফিস খুলতে বলবে সরকার।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, দেশের বড় কোনো ঘটনা সঠিকভাবে তদারকির প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হবে। দেশে বড় কোনো ঘটনা বা দুর্ঘটনা ঘটলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন এই কমিটির কাছে জমা দেবে।
বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে যে, ইউটিউব চ্যানেল খুলে যে যার মতো কনটেন্ট ছেড়ে দিচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে। প্রচলিত গণমাধ্যমের মতো চ্যানেলগুলো মনিটরিং করা সম্ভব হচ্ছে না বলে এক ধরনের ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই চ্যানেলগুলোকে নজরদারির আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর বৈঠকে জোর দেওয়া হয়। স্থানীয় ইউটিউব চ্যানেলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার কথা ভাবা হচ্ছে বলে বৈঠকে জানান কমিটির প্রধান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এছাড়া রোহিঙ্গাদের ওপর নজরদারির জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২৪টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার স্থাপন করারও সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ভার্চুয়ালে বৈঠকে যুক্ত হন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী। এছাড়া পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের মহাপরিচালক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।