Search

রবিবার, ৯ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ৯ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ৯ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ই জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

পূর্বের চেয়ে প্রতিনিয়তই শক্তিশালী হচ্ছে করোনাভাইরাস : গবেষণা

প্রভাতী ডেস্ক : সারা বিশ্বে করোনার ভাইরাসের এই মহামারি সময়ে জানা যায় যে, “পূর্বে প্রাথমিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) যে আকার বা চরিত্র ছিল, তার পরিবর্তন ঘটছে”। ফ্লোরিডার গবেষকরা জানিয়েছেন যে , প্রতিনিয়তই শক্তিশালী হচ্ছে করোনাভাইরাস। বিশেষ গবেষকদের মতে, “চীনে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে যে পরিমাণে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিলেন, এখন তার চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে বিস্তার লাভ করছে এই ভাইরাস”।এর কারণ হিসেবে গবেষকরা বলছেন যে, “করোনাভাইরাস আরো শক্তিশালী হচ্ছে এবং অতিদ্রুত মানবশরীরে প্রবেশের ক্ষমতা ধারণ করেছে। ফলে সংক্রমণও বৃদ্ধি পাচ্ছে”। এই ভাইরাস নিজের সারফেস প্রোটিন পরিবর্তন করছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এর ফলেই বদলে যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের চরিত্র। গবেষকরা জানিয়েছেন যে, “পূর্বে করোনা ভাইরাস মানব কোষে স্থান দখল করতে পারত না, এখন সারফেস প্রোটিন পরিবর্তনের ফলে সেখানেও আক্রমণ চালাতে পারছে ”।
চিকিৎসকদের মতে , “করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে করোনার কোনো লক্ষণ পাওয়া না গেলেও হঠাৎই শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে তার এবং চিকিৎসা কার্য শুরুর পূর্বেই মৃত্যু হচ্ছে রোগীর। বর্তমান মেডিকেল রিপোর্টের তথ্যমতে, যদি কোনো করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে অন্তত ২০০ জন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হন, তবে তার এই ভাবে মৃত্যু হতে পারে। মেডিকেল পরিভাষায় এই করোনা ব্যক্তিকে বলা হচ্ছে সুপার স্প্রেডার”।
“ সম্প্রতি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার পেডাপুডি এবং সংলগ্ন এলাকায় এ রকম ১ ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায় । যার নিজের কোনো করোনার লক্ষণ ছিল না। অথচ তিনি সুপার স্প্রেডার ছিলেন”। স্থানীয় কাঁকিনাড়ার ১টি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আধাঘণ্টার(১/২) মধ্যে তার মৃত্যু হয়।গবেষকদের মতে, এ ধরনের অ্যাসিম্পোট্যোম্যাটিক রোগীরা প্রাথমিকপর্যায়ে সুস্থ বলেই মনে করা হয়, কিন্তু ধীরে ধীরে শরীরের ভেতরে বিভিন্ন অংশের ক্ষতিসাধন করে চলে এবংআচমকাই এদের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পায়। এর ফলে চিকিৎসা কার্যের বিন্দুমাত্র সুযোগও এই ধরনের রোগীরা দেন না। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যান”।
“গবেষকদের মতে করোনা ভাইরাসের এই রূপ পরিবর্তন এর নামকরণ করেছেন D614G। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার হ্রাস পেলেও ভয়াবহতা একই থাকছে । বর্তমানে গবেষকরা এই নতুন D614G-র চরিত্রের রহস্য উদঘাটনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।বর্তমানে এরই ধারাবাহিকতায় ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হতে একাধিক করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে”।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print