
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরীর উদ্যোগে বাকলিয়ার তুলাতলীর ওয়েডিং পার্ক কমিউনিটি সেন্টারের প্রতিষ্ঠিত আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। শনিবার (২৭ জুন) সকালে এই উদ্বোধন অনুষঙ্গ সম্পন্ন হয়। ১০০ শয্যার মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টারে রোগীরা বিনামূল্যে সেবা পাবেন।
এখানে কোভিড-নন কোভিড রোগীরা চিকিৎসা সেবা পাবেন।
এ সময় ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে লক্ষাধিকের উপরে লোক মারা গেছে। দেশের মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে বলেই করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা লক্ষাধিক পার হলেও দেশে মৃত্যুর হার কম। দেশে এখনো করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা সচেতন আছি, অন্যান্য দেশ থেকে আমরা সামাজিকভাবে সচেতনতায় এগিয়ে আছি।
চট্টগ্রামের হাসপাতালের সংখ্যা কম উল্লেখ করে তিনি নগরবাসীকে অসুস্থ হলে হাসপাতালে না ছুটে আগে আইসোলেশন সেন্টারে আসার আহবান জানান।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, রেজাউল করিম চৌধুরী এখনো রাষ্ট্রীয় কোন দায়িত্বে না থেকেও এগিয়ে এসেছেন। এটা অনেক বড় মানসিকতার পরিচয়। তার কাছে আবেদন থাকবে, তিনি নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামে যেন একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করেন। সারাদেশের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনই প্রথম স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী উদ্যোগ নিয়েছেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আরবান হেলথ কেয়ার করেছেন। আমি অনুরোধ করবো রেজাউল করিম চৌধুরী নির্বাচিত হলে যেনো সে ধারা অব্যাহত রাখেন।
এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের যে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো আছে সেগুলো সরকারের এত নির্দেশনার পরও মানুষের সাথে স্বাভাবিক আচরণ করছে না। রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে কষ্ট পাচ্ছে। এসব দেখে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। নিজে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি মনে করেছি এ সময় মানুষের জন্য কিছু করা দরকার। এ জন্য উদ্যোগটি নিয়েছি। যাতে মানুষকে অক্সিজেনসহ ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা দিতে পারি।
তিনি আরো বলেন, এই আইসোলেশন সেন্টারে চট্টগ্রামের যেকোনো এলাকার কোভিড রোগীদের পাশাপাশি নন-কোভিড রোগীদেরও চিকিৎসা দেওয়া হবে। অনেক সময় মানুষ ছোটখাটো কিছু সমস্যার জন্য ডাক্তার খুঁজে পায় না। তাই আমরা বাইরে একটা হেল্প ডেস্ক বসাচ্ছি। সেখানে নন-কোভিডদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে। রোগীরা সব সেবাই পাবেন বিনামূল্যে।
এসময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. শেখ শফিউল আজম, বিএমএ’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান, মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস হাফিজ খান রুমু, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এমএ মনছুর, কাউন্সিলর হারুন উর রশিদ, শহিদুল আলম শহিদ উপস্থিত ছিলেন।
এই আইসোলেশন সেন্টারে আছেন ৮ জন ডাক্তার, ১৬ জন নার্স, ৮ জন ওয়ার্ড বয়, ২ জন আয়া, ২ জন ক্লিনার ও ৪ জন সিকিউরিটি গার্ড।
মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টারের জন্য নগদ দেড় লাখ টাকা, ১টি ফগার মেশিন এবং ২ বক্স উন্নত মানের পিপিই দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।