
বাঁশখালী প্রতিনিধি : বাঁশখালীতে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি নিহত হয়েছে।
রবিবার (১৪ই জুন) গভীর রাতে বাঁশখালী উপজেলার মিয়ার বাজার উত্তর জলদী ভাদালিয়া ১ নং ওয়ার্ডের আনোয়ারের মেহগনি বাগানের ভেতর এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে র্যাব সদস্যরা একটি এলজি এবং ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন।
মো. মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, সোমবার ভোরে বাঁশখালীর মিয়ার বাজার এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে র্যাবের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ ও অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম আবদুল মজিদ (৩০)। তিনি বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়া ঘোনাপাড়া এলাকার লেদু মিয়ার ছেলে ও বাঁশখালীতে সম্প্রতি একটি গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি।
সূত্রে জানা যায় , গত ২৭ এপ্রিল বাঁশখালীর বৈলছড়ি এলাকায় এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হন। আবদুল মজিদ ও তার দুই সহযোগী মিলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ছিল।
জানা যায়, ২৭ এপ্রিল গণ্ডামারা ইউনিয়নের বাসিন্দা রিপা নামের এক তরুণী তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বের হয়ে কাজের সন্ধান করেন। পরে ওই তরুণী বৈলছড়ী ঘোনাপাড়া এলাকায় এক মহিলার বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে বখাটে আবদুল মজিদ ও তার দুই সহযোগী চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই তরুণীকে ডেকে নিয়ে রাতভর জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এই ঘটনায় রিপার পিতা বাদী হয়ে ধর্ষণের সাথে জড়িত ৩ জনের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আবদুল মজিদকে প্রধান আসামি করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার মুঠোফোনে জানান, নিহত আব্দুল মজিদ ধর্ষণ মামলার ১ নং আসামি। আমরা লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।