
প্রভাতী ডেস্ক : টাকার অভাবে না, মূলত সাশ্রয় করতেই সুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে স্কয়ার হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন বলে দাবি করেছেন ‘করোনা বীর’ নামে খ্যাতি পাওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মাকুসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
তবে স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা করোনা মুক্ত হলেও কাউন্সিলর খোরশেদ এখনো করোনা পজিটিভ বলে জানা গেছে। তবে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকায় তাকেও ছাড়পত্র দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রোববার(৭ই জুন) কাউন্সিলর খোরশেদ সংবাদমাধ্যমে বলেন, শনিবার আমার স্ত্রী হাসপাতাল ছেড়ে ঢাকায় তার মায়ের বাসায় উঠেছেন। তার এখন সেবা প্রয়োজন। আর আমি শুক্রবারই হাসপাতাল ছেড়েছি। আমি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট। আমার স্ত্রীর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। ওখানে ভর্তি না হলে কী হতো তা আমি জানি না। হাসপাতাল আমাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দিয়েছে। ভর্তির পর থেকে শেষদিন পর্যন্ত আমাদের দু’জনের চিকিৎসায় বিল এসেছে ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, যেহেতু আমার স্ত্রী সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে এখন পুরোপুরি সুস্থ এবং আমাকে চিকিৎসকরা বলেছেন আমার শরীরের অবস্থা খুব ভালো। কয়েকদিন বাসায় আইসোলেশনে থাকলে আমিও কোভিড-১৯ মুক্ত হয়ে যাব,তাই অর্থ সাশ্রয়ের জন্যই আমি হাসপাতাল ত্যাগ করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি পারিবারিকভাবে সচ্ছল বিধায় এই বিল দিতে পেরেছি কিন্তু সাধারণ মানুষের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। তাই সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে আমার অনুরোধ, যেন সাধারণ মানুষের জন্য স্কয়ারের মতো না হলেও তার অর্ধেক মানের চিকিৎসা যেন জেলা হাসপাতালগুলোতে ব্যবস্থা হয়। তাহলে করোনা চিকিৎসা সর্বসাধারণের জন্য সহজলভ্য ও সুলভ হবে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ৬১ জনের দাফন সম্পন্ন করার পর দেশজুড়ে প্রশংসিত বিএনপি নেতা কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। এমনকি করোনায় মৃত হিন্দু ব্যক্তিদেরও সৎকার করেন তিনি ও তার টিম। এ কারণে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’, ‘করোনা যোদ্ধা’, ‘সুপার হিরোসহ’ নানা খ্যাতি পেয়েছেন তিনি।