
নিজস্ব প্রতিবেদক : অস্ত্রের ঝনঝনানিতে আবারো অশান্ত চট্টগ্রামের বাঁশখালীর জনপদ। বাঁশখালীর বাহারছড়া এলাকায় ঈদের দিনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারিতে ১জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি হাফেজ নূরুল ইসলামের ছেলে মো. এরফানুল হক (৩৫)। আহত হয়েছেন আরো ৭জন। নিহত এরফানুল হকের ১ ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর কাঠগড় এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সোমবার(২৫শে মে) বিকেল ৫ টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় আহতরা হলেন আলী আহমদের ছেলে মো. মুন্সি আলম (৫৫), দুধু মিয়ার ছেলে মো. মুসা (৬০), ফজল আহমদের ছেলে জাফর আহমদ (৬৫), মৃত ছাবের আহমদের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩০), নুরুল ইসলামের ছেলে এমরান (২৯), ফরিদ আহমদের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২২)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাহারছড়ার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রত্নপুর গ্রামে নিহত এরফানুল হকের পিতা হাফেজ নুরুল ইসলামের সাথে দুধু মিয়ার ছেলে কালুর দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে ঈদের নামাজ শেষে সকাল ১১ টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আজিজুল বারি পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে পুলিশ চলে গেলে বিকেলে দুইপক্ষের লোকজন দা, কিরিচ, লাঠি নিয়ে পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গুরুতর আহত হয় হাফেজ নুরুল ইসলামের ছেলে এরফানুল হক (৩২), আহতদের বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে এরফানুল হক মারা গেছেন।
স্থানীয় আরো একটি সূত্রে জানা যায়, আগে থেকে এই দু’পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল। আজ বিকেলে দুই শিশুর মধ্যে মারামারি থেকে বড়দের মধ্যে মারামারির সূত্রপাত হয়। একপর্যায়ে খুনোখুনিতে জড়ায় দুই পক্ষ।
লাশের সুরতহালকারী বাঁশখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিমল কুমার দাশ বলেন, নিহত ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাতে, কপালে এবং মাথায় কোপানো হয়েছে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, বিকেলে পূর্ব কোন্দলের জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে হয়েছে। এতে ১জন নিহত ও আহত হয়েছে অন্তত ৭ জন। তাদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ২ জনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৫জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এর আগে ১২ মে বাঁশখালীতে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে দুই হাফেজ খুন হয়েছেন। একই দিন খুন হন এক ট্রাক চালকও। পরে দুই মাদ্রাসা ছাত্র খুনের মামলার এক আসামি পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।