ইফতেখারুল ইসলাম তৈয়ব : চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানাধীন চান্দাপুকুর পাড় এলাকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত আরমানের পরিবারকে এলাকাবাসি তালা দিয়ে অমানবিক ভাবে আটকে রাখার ঘটনার কোন সত্যতা পায়নি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন।
রবিবার(১০ই মে) জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌহিদুল ইসলাম সরেজমিন তদন্ত করেন। এসময় বাড়ির মালিক এবং বাড়ির দারোয়ান জানান লকডাউন করার পর তাদের ভবনের সবার এবং এলাকাবাসীর সাস্থ্য সুরক্ষায় বাড়িওয়ালার পক্ষ থেকে বাড়িতে তালা লাগানো হয়েছে। ঐ বাড়িতে বাহির থেকে লাগানো ছোটো তালাটি গেটের ভিতর থেকে খোলা যায়। এই তালা লাগানোর সাথে এলাকাবাসীর কোনো সম্পৃক্ততা নাই৷
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত আরমান আহমেদের পরিবার যথেষ্ঠ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। তাদের পারিবারিক আয়ের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ডাক্তার,ব্যাংকার রয়েছেন। বর্তমান লক ডাউনে থাকা পরিবারের ৭ সদস্যের মধ্যে সেই চিকিৎসকও আছেন। পরিবারটি মূলত নিজেদের করোনা পরীক্ষার জন্যেও বেশী উৎকন্ঠায় ছিলো তাদের কোন প্রকার ত্রান সহায়তার দরকার ছিলোনা বলেও জানা গেছে।
তদন্তে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, কয়েকটি গণমাধ্যমে এলাকাবাসি তালা লাগিয়েছে মর্মে সংবাদ প্রচারের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা বিষয়টি সরেজমিন তদন্তে এসেছি৷ বাড়ির দারোয়ান জানান, সেই পরিবারটির সকল সদস্য আজ (১০ মে) সকাল ৮টা নাগাদ করোনাভাইরাস টেস্টের নমুনা দিতে বেরিয়েছেন৷ ইতিপূর্বে তালা লাগানোর বিষয়টি সম্পর্কে দারোয়ান তার বক্তব্যে জানিয়েছেন, বাড়ি লক ডাউনের পর বাড়ি মালিক নিরাপত্তার স্বার্থে গেইটে তালা লাগানোর নির্দেশ দিলে সে নিজে তালাটি লাগিয়েছিলো৷ এছাড়া বাড়ির বাহিরের ছোট তালাটি আগে থেকেই সব সময় লাগানো থাকতো। দারোয়ান জানিয়েছে তালাটি প্রয়োজনে ভেতর থেকে খোলার ব্যবস্থা আছে৷
এছাড়া স্থানীয় থানার ওসিকে পরিবারটি জানিয়েছেন তাদের কোন প্রকার ত্রান প্রয়োজন নাই। গতরাতে মশার কয়েল প্রয়োজন হলে থানার ওসি মধ্যরাতে নিজে সেই মশার কয়েল পরিবারটিকে সরবরাহ করেন৷
উল্লেখ্য, ৪ঠা মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরমানের মৃত্যুতে বাড়ীটি লকডাউন করার পর পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তারা স্থানীয় প্রশাসন এবং কাউন্সিলরকে অবহিত করেন। আজ সকালে ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউক নিজেই উপস্থিত থেকে তাদের পুরা পরিবারের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।