আশেক এলাহী, কক্সবাজার: অবশেষে ২দিনের মধ্যে কক্সবাজারের চকরিয়া কোনাখালীর আঞ্চলিক মহাসড়কে তরুণী চম্পা হত্যার রহস্য উদঘাটিত হলো। চম্পার হত্যার জন্য চম্পার বাবা আপন বোন, ভাগ্নে এবং ভগ্নিপতিকে দায়ী করলেও খুনের ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে।
চট্টগ্রাম থেকে পেকুয়া আসে চম্পা। সেখান থেকে চকরিয়ার জন্য সিএনজিতে উঠলে চালক তাকে চকরিয়া না নামিয়ে ফের উল্টো যাত্রা করে একটি ব্রীজের পাশে দুই সিএনজি চালক মিলে কয়েকদফা ধর্ষণ ও বাকবিতণ্ডার পর আবারো গাড়ীতে উঠানো হয় তাকে। সিএনজি চলার একপর্যায়ে তরুণী চম্পাকে চলন্ত সিএনজি অটোরিক্সা থেকে ফেলে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা এক গাড়ির ধাক্কায় মারা যান তরুণী চম্পা।
চকরিয়ায় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা কক্সবাজারের খরুলিয়ার তরুণী চম্পা বেগমের হত্যাকাণ্ডে জড়িত জয়নাল নামের এক অটোরিক্সা চাকলকে আটকের পর বেরিয়ে আসে এসব তথ্য।
শুক্রবার (৮ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইন কমান্ডার আজিম আহমেদ।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ওই তরুণী পেকুয়া পর্যন্ত আসে। সেখান থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চালক তাকে চকরিয়ায় আনে। কিন্তু সেখান থেকে অটোরিক্সা চালক তাকে নিজ বাড়ি কক্সবাজারের খরুলিয়ার দিকে না নিয়ে ফের পেকুয়ার দিকে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে একটি ব্রিজের পাশে তাকে দুই অটোরিক্সা চালক মিলে ধর্ষণ করে। এরপর ওই তরুণীর সাথে অটোরিক্সা চালকদের কথা কাটাকাটি হলে তাকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, ঘাতকরা তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। বিপরীত দিক থেকে একটি গাড়ি আসতে দেখে তাকে ওই গাড়ির সামনে ফেলে দেয় তারা। ফলে ওই গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় চম্পার। এ ঘটনায় জড়িত জয়নাল নামে এক সিএনজি চালককে আটক করা হয়েছে। অপরজনকে আটকে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
উল্লখ্যে, গত ৬ মে বুধবার রাত সাড়ে ১০ টায় চকরিয়া কোনাখালীর আঞ্চলিক মহাসড়কে এক তরুণীকে চলন্ত গাড়িতে হত্যা করে রাস্তায় লাশ ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠে। এমনকি বিয়ে সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে নিহত চম্পার বাবা রুহুল আমিন বাদী হয়ে চম্পার ফুফি, ফুফা ও ফুফাতো ভাইকে আসামি করে চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগও দেন। অবশেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করলো র্যাব।