তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় গত রোববার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. আকবর হোসেন মৃধা।
তাকে কারাগারে নেওয়ার সময় বিএনপি ও তাদের সমর্থক আইনজীবীরা কোতোয়ালি থানার ওসি ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ ওঠে।
ওই ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই মামলায় সাত দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার তাদের আদালতে নেয় পুলিশ। অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদ এক দিন রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, “শুনানিতে বলেছি, ঘটনার দিন আবুল হাশেম বক্কর ও মাহবুবুর রহমান শামীম সেখানে ছিলেন না। এরপরও আদালত রিমান্ডের অনুমতি দিয়েছেন।”
আমীর খসরুর বিরুদ্ধে নিরাপদ সড়কের আন্দোলন চলাকালে উস্কানীর অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর গত ৪ অগাস্ট করা এই মামলায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতার অভিযোগ করেন।আমীর খসরুকে কারাগারে নেয়ার পর মঙ্গলবার তাকে হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার আদালতে আবেদন করেছেন ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশের এসআই সঞ্জয় গুহ। বুধবার রিমান্ড শুনানির দিন ঠিক করা হবে বলে জানা যায়।
কী কারণে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন- জানতে চাইলে সঞ্জয় বলেন, “যে ব্যক্তির সাথে কথোপকথনের রেকর্ড প্রকাশ পেয়েছে, তিনি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির সাথে হয়েছে কি না? সেটা ছাড়াও প্ররোচনা, নির্দেশদাতা ও উদ্দেশ্য জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।”
পাশাপাশি কোন মোবাইল ফোন ও সিম থেকে কথা বলা হয়েছে, সেটা বের করার কথাও উল্লেখ আছে রিমোন্ডের আবেদনে।