প্রভাতী ডেস্ক: চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাট্টলীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থক তানভীর আহমেদকে (৪৫) হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাত ১২টার দিকে নগরের ১১ নম্বর উত্তর কাট্টলী এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত তানভীর বর্তমান কাউন্সিলর ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোরশেদ আক্তারের সমর্থক। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার ফারুক উল হক এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ১১টার দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী মোরশেদের বাড়ীর সামনে তার নির্বাচনী ক্যাম্পে অবস্থানের সময় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মো. ইসমাইলের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে দু’জনকে ছুরিকাঘাত করে। আহত আনোয়ার জাহিদ তানভীর ও মো. জনিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর রাত সাড়ে ১১টায় তানভীরের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের আরেক প্রার্থী মো. ইসমাইলকে অভিযুক্ত করে ক্ষুব্ধ লোকজন স্লোগান দিচ্ছে। নিহত তানভীর পাহাড়তলী থানার শান্তিবাগ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জাহিদ সরকারের ছেলে। তিনি পাহাড়তলী আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।
নগর পুলিশের উপকমিশনার ফারুক উল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থী মোরশেদের বাড়ির সামনে নির্বাচনী ক্যাম্পে বসে ছিলেন তানভীর। ওই সময় কয়েকজন লোক এসে কথা–কাটাকাটি করে। একপর্যায়ে তারা তানভীরের ওপর হামলা ও ছুরিকাঘাত করে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ কর্মকর্তা ফারুক উল হক আরও বলেন, ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, তা শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার পরপরই মোর্শেদ ও ইসমাইল সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ থেকে ৪১ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও বিদ্রোহী হিসেবে অনেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। ১১ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে ইসমাইলকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও মোরশেদ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে কাউন্সিলর প্রার্থী আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনার সময় আমি অন্য এলাকায় গণ সংযোগে ছিলাম। এছাড়া আমার সমর্থকরা তানভীরকে মারেনি। তানভীর আমার দলের লোক। আমার ছেলেরা কেন তাকে মারবে?
ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোরশেদ আকতার চৌধুরী জানান, আমার বাড়ীর সামনে কাউন্সিলর প্রার্থী হাইব্রিড নেতা ইসমাইলের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী লেঙ্গা সোহেল, নেছার, আকতার, ফাহিম, শাকিব, পলাশসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী কয়েকটি মোটর সাইকেল নিয়ে এসে আমার কর্মী তানভীরকে কুপিয়ে এবং পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। আমি তানভীরের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছি।