শনিবার, ২৫শে জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ২৫শে জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ২৫শে জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে রজব ১৪৪৬ হিজরি

রেসিডেন্সিয়াল শিক্ষার্থীর অপমৃত্যু : প্রথম আলো সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা 

প্রভাতী ডেস্ক: ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের অপমৃত্যুর মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

পরোয়ানাভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- আনিসুল হক, কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামাণিক শুভ, মহিতুল আলম পাভেল, শাহ পরান তুষার, জসিম উদ্দিন অপু, মোশারফ হোসেন, সুজন এবং কামরুল হায়দার।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আলীম। প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এই পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এই দিন বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নেয়ার বিষয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, যেহেতু আমরা শুরুতে বলেছি, প্রথম আলো, কিশোর আলো, বন্ধুসভা যে অনুষ্ঠান করেছিল তাতে বিদ্যুৎ সরবরাহে অব্যবস্থাপনা ছিল। তাদের গাফিলতির কারণে আবরারের মৃত্যু হয়। তাই সব আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হোক।

এসময় নাইমুল আবরারের বাবা মো. মুজিবুর রহমান আদালতে হাজির ছিলেন। এর আগে গত ৬ নভেম্বর আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন মুজিবুর রহমান।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, গত ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোরদের মাসিক সাময়িকী কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে নাইমুল আবরার যান। অনুষ্ঠান চলাকালে সাড়ে ৩টার দিকে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। অনুষ্ঠানের জন্য যে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয় তা অরক্ষিত ছিল। ঘটনাস্থলের খুব কাছে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থাকলেও আবরারকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ এ্যান্ড হাসপাতালে নেয়া হয়।

অভিযোগে বলা হয়, নাইমুল আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টায়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ৪টা ৫১ মিনিটে। আবরারের মৃত্যুর সংবাদ গোপন করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালিয়ে যায় কিশোর আলো এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ আবরারের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়নি। আবরারের পরিবার এক সহপাঠীর মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর পায়। এটি পরিকল্পিত এবং গাফিলতি ও অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড। ওই দিন আদালত আবরারের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।

আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলা এবং আদালতে দাখিল করা অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলা তদন্ত করতে মোহাম্মদপু থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print