প্রভাতী ডেস্ক: আজ মহানবমী।শারদীয় দূর্গা পূজার চতুর্থ দিন। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের আমেজ শেষ পর্যায়ে।মন্ডপে মন্ডপে বিদায়ের সূর বাজতে শুরু করেছে। পর দিনই বিদায় নেবেন তাদের মা দুর্গা।
আগামীকাল শুক্রবার তারা বিজয়া দশমী উদযাপন করবেন। দশমীর দিন মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতি নাশিনী দেবীদুর্গা। আর পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের চার দিনের আনন্দ-উল্লাস আর বিজয়ার দিনের অশ্রু।
আজ নবমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হবে মহানবমী কল্পারম্ভ বিহিত ও সন্ধি পূজা। নানা আচারের মধ্য দিয়ে মহানবমীর পূজা শেষে ভক্তরা দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি দেবেন।
গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের অধ্যক্ষ ধ্রুবেশানন্দ মহারাজ বলেন, সাধারণত মহাষ্টমীর শেষ এবং মহানবমী তিথির সংযুক্ত সময়ে সন্ধি পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই সন্ধিক্ষণেই দেবী দুর্গার হাতে অসুর বধ হয়েছিল। এ জন্য সন্ধি পূজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গতকাল বুধবার কুমারী পূজা উপলক্ষে রামকৃষ্ণ মিশনে নেমেছিল ভক্তদের ঢল। ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের ভেতরে যত মানুষ ছিল, তার প্রায় দ্বিগুণ ছিল বাইরে। মন্দিরে প্রবেশ করতে না পেরে বাইরে দাঁড়িয়েই তাঁরা কুমারী পূজার মন্ত্র শোনেন এবং দেবীর উদ্দেশে প্রণাম করেন।
ভেতরে নতুন পোশাকে অগণিত পুণ্যার্থীর উপস্থিতি। বিরামহীন ঢাকঢোল বাজছিল। আর থেমে থেমে ঘণ্টা আর কাঁসার শব্দ। নানা বয়সের নারীর ভক্তি ধরা উলুধ্বনি। এরই মাঝে পিতার কোলে চড়ে মণ্ডপে অধিষ্ঠিত হলেন ‘কুমারী মা’।
আগামীকাল শুভ বিজয়া দশমী। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসবের।