প্রভাতী ডেস্ক: চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী জিয়া উদ্দিন আহমদ বাবলু আপিলে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আপিল শুনানি শেষে তার বাতিল হওয়া মনোননয় বৈধ ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন জিয়াউদ্দীন আহমদ বাবলু।
এর আগে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন গণফ্রন্টের প্রার্থীসহ বাবলুর প্রার্থীতা বাতিল করে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, জিয়াউদ্দীন আহমদ বাবলু এক ব্যক্তির ব্যাংক ঋণের জিম্মায় ছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ে ওই ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হন।
নির্বাচনী আইনে বলা হয়েছে, যদি কেউ ব্যক্তিগত লোন নিয়ে থাকেন অথবা ব্যক্তিগত লোন নেয়ার ক্ষেত্রে জিম্মায় থাকেন তাহলে তাকে মানোনয়নপত্র জমাদানের ৭ দিন আগে সেই লোন পরিশোধ করতে হবে।
এক্ষেত্রে জনৈক ব্যক্তিটি লোন পরিশোধ করেছেন একদিন আগে, যা নির্বাচনী আইনের লঙ্ঘন। এ কারণে জিয়া উদ্দিন আহমদ বাবলুর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে যাচাই-বাছাইয়ের দিন থেকে পরবর্তী ৩ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-৮ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈনউদ্দীন খান বাদল। গত ৭ নভেম্বর ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
গত ১২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমা দেন জিয়া উদ্দিন আহমদ বাবলু। বাবলুর হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৬১৫ টাকা।
বাবলু ছাড়াও নির্বাচনী লড়াইয়ে আছেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হকও ন্যাপ’র বাপন দাশগুপ্ত।