তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার স্বার্থে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে ‘বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিমঞ্চ’ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১.৩০ টার সময় চট্টগ্রাম সিএমএম আদালত ভবন চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ‘বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিমঞ্চ’ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক এড. এম আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য সচিব এড. রফিকুল হক এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিমঞ্চ’র উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী এড. আব্দুস ছাত্তার, সংগঠনের উপদেষ্টা সিনিয়র আইনজীবী এড. আবদুল কাদের, এড. আবু তাহের, এড. কুতুব উদ্দিন, সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক এড. আবু নাছের বিন হাশেম, এড. তৌহিদ হোসেন সিকদার, এড. নাছির উদ্দিন, এড. জাহেদ হোসেন, এড. লোকমান শাহ, এড. মো. ইকবাল হোসেন, এড. সঞ্জীব দাশ, এড. আকবর আজিজ, এড. মুরাদ হোসেন, এড. জাহাঙ্গীর আলম, এড. আরিফ উদ্দিন, ইয়াছিন আরাফাত, সরোয়ার কামাল, মো. রিদোয়ান প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। সমগ্র জাতি অধীর আগ্রহে ছিলেন সুচিকিৎসার স্বার্থে তিনি আজ জামিনে মুক্ত হবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর গতকালকের ঔদ্ধর্ত্যপূর্ণ বক্তব্যের পর বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত মেডিকেল বোর্ড তাঁর স্বাস্থ্য বিষয়ক রিপোর্ট মহামান্য হাইকোর্টে প্রেরণ না করায় জামিন শুনানীর তারিখ পিছিয়ে দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়াকে জামিনে মুক্তির ক্ষেত্রে সরকারের ন্যাক্কারজনক আচরণ ও হীন হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বক্তারা।
বক্তারা আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী ১২ ডিসেম্বর নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় তিনি সুচিকিৎসার অভাবে শারীরিকভাব ক্ষতিগ্রস্থ হলে এর দায়-দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারকে নিতে হবে। বক্তারা হুশিয়ারি প্রদান করে বলেন, ১২ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানীতে নতুন করে আর কোন ধরণের ষড়যন্ত্র করা হলে সমগ্র জাতি একদফা দাবী নিয়ে তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করা হবে। — সংবাদ বিজ্ঞপ্তি