মঙ্গলবার, ২৪শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মঙ্গলবার, ২৪শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ মঙ্গলবার, ২৪শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি

ধর্মদ্রোহী এমপি বাদলের জানাযা বয়কট করুন : আব্দুর রব ইউসুফী

প্রভাতী ডেস্ক: কোন ধর্মের লোক মারা গেলে তার শেষ কৃত্যের নিয়ম সে ধর্মে অবশ্যই আছে। নাস্তিক ও ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষীদের শেষ কৃত্যের কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। যে যার মত করে শেষ কৃত্য করে। যেমন ড. আহমদ শরীফ উপায়ান্তর না দেখে মৃত্যুর পূর্বেই স্বীয় দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজে দান করে গিয়েছিলেন।

মুসলিমদের শেষ কৃত্য হল তাঁকে সুন্দর ভাবে গোসল দিয়ে, সাদা কাপড়ে কাফন পরিয়ে, সুগন্ধি মাখিয়ে, জানাযা দিয়ে সন্মানের সাথে মাটিতে কবর খুঁড়ে দাফন করা।

সু-ষ্পষ্ট মুসলিম পরিচয় বিহীন কেউ মারা গেলে তার জানাযা দেয়া বা মৃতদেহ মুসলিমদের কবরে দাফন করাও জায়েয নেই।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে মদীনার ইয়াহুদিরা বারবার বিশ্বাস ঘাতকতার কারণে তাদেরকে যে শাস্তি দিয়েছিলেন, এ জন্য জাসদ নেতা মাঈনুদ্দীন খান বাদল আল্লাহর রাসুলের শানে বেআদবী মুলক মন্তব্য করেছে। আর নবীর শানে অপমানজনক উক্তি করা কুফর।

হাইকোর্টে মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে আলেম-উলামা ও দীনদার লোকেরা (শরীয়া বিরোধি হওয়ায়) আন্দোলন করেছিলেন। তখন এই মাঈনুদ্দীন খান বাদল এজন্য আলেমদেরকে কুকুরের বাচ্চা বলে গালি দিয়েছিলেন। আর আলেমদেরকে ধর্মীয় কারণে কটাক্ষ করা কুফর।

এমনিতেই তিনি নাস্তিক্যবাদী লোক ছিলেন। এ থেকেই তার এ কটাক্ষ। এতে তার নামের সাথে মুসলিম পরিচয় থাকায় তিনি শরীয়া মোতাবেক মুরতাদ বা ধর্মদ্রোহী। তাই তার জানাযা পড়া, পড়ানো, মুসলিমদের কবরে দাফন করা জায়েয নেই।

আর তারা যারা ধর্মে বিশ্বাস করেন‌ না, তারা কেনই বা অহেতুক ধর্মীয় নীতিতে শেষ কৃত্যের জন্য তৎপর হয়ে উঠবেন?

আলেমদের প্রতি আরজ, আত্মীয়তা বা কোন চাপের মুখে নতি স্বীকার করে তার জানাযায় যাবেন না। সমস্ত মুসলিমদের প্রতিও একই আবেদন থাকল। তাকে কোথাও মাটিতে গর্ত করে পুতে রাখুক, না আগুনে পুড়ে ভষ্ম করে দিক বা সাগরের পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হোক তাতে কারো কিছু যায় আসে না।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print