
প্রভাতী ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় বুলবুল প্রায় চলে এসেছে বাংলাদেশে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৬ নং বিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রা বন্দরে ৭ নং বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ধারণা করা হচ্ছে আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে ঝড়টি ১২৫ কিলোমিটার বেগে উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র বলছে, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ক্রমেই শক্তি সঞ্চার করে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। শুরুর দিকে ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার। শুক্রবার দুপুর থেকে এটির শক্তি ক্রমেই বাড়তে থাকে। ‘বুলবুল’ ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড়ে উন্নীত হয়েছে। এটি এখন আঘাত হানলে ১৩০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইবে। যে বাতাসে ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে।
এর আগে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ঘূর্ণিঝড় বুলবুল নিয়ে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের মুখে বাংলাদেশের অতি ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো হলো- খুলনা, সাতক্ষীরা, বরগুনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলা। তিনি আরো জানান, বুলবুলের কারণে ৫ -৭ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস এই জেলাগুলোতে আঘাত করতে পারে।
বিকেল ৩টায় সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে জরুরি সভা ডাকা হয়। এতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে উপকূলবর্তী খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ ১৩টি জেলায় ২ হাজার প্যাকেট করে মোট ২৬ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার এবং প্রতি জেলায় ৫ লাখ টাকা করে অগ্রিম বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে চলাচল না করতে বলা হয়েছে।