বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি

রক্ত দিয়ে স্বাক্ষর করে সরকারকে বিদায় করার শপথ নিলেন আ.স.ম রব

প্রভাতী ডেস্ক: আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে কর্মসূচিতে রক্ত দিয়ে স্বাক্ষর করে সরকার পতনের শপথ নিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেছেন, ‘শুধু আবরার হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি নয়, এই সরকারের বিদায়ের জন্য রক্ত দিয়ে স্বাক্ষর করে শপথ করছি। বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন করে এই সরকারের বিদায় করব।’

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে ‘রক্তের অক্ষরে সত্যের সাক্ষ্য’র কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের উদ্দেশ্যে রব বলেন, ‘কত রক্ত চাই আপনাদের? রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে সব অন্যায়। যত রক্ত চান রক্ত দিব কিন্তু জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকারি দল থেকে বলা হচ্ছে- আবরারের বিচারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তাহলে আমরা আন্দোলন করছি কেন? আবরার এর বিচার হয় নাই।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। কিছুদিন আগে এক অধ্যক্ষকে পানিতে ফেলে দিয়েছে ছাত্রলীগ, এসবের বিচার এখনো হয়নি।’

এই সরকার একটি খুনি সরকার মন্তব্য করে রব বলেন, ‘এই সরকার জনগণের সব অধিকার হরণ করেছে। তারা পুলিশ দিয়ে, গুন্ডা দিয়ে আন্দোলন দমন করে আর বলে আন্দোলন করতে পারে না, বক্তব্য দিতে পারে না। স্বৈরাচারী পন্থায় ক্ষমতায় থাকবেন? ব্রিটিশ আমল থেকে কেউ এই স্বৈরাচারী পন্থায় ক্ষমতায় বেশিদিন থাকতে পারেনি আপনিও পারবেন না। আপনাদেরও ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার শুধু আবরারকে খুন করে নাই। জনগণের অধিকার খুন করেছে, গণতন্ত্র হরণ করেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে খুন করেছে। এখনো খুন করছে তারা।’

ছাত্রলীগ একটি খুনিলীগ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই ছাত্রলীগ এখন ছাত্রলীগ নাই তারা খুনিলীগ হয়ে গেছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। প্রতিটি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের প্রতিটি টর্চার সেল আছে। শেখ হাসিনা প্রতিটি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থানা, উপজেলায়, ওয়ার্ডে টর্চার সেল তৈরি করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন ছাত্রলীগ তাদের অঙ্গসংগঠন না। ছাত্রলীগ-যুবলীগ যদি আপনারদের অঙ্গসংগঠন না হয় তাহলে গণভবনে কী করে কমিটি ঘোষণা করেন এর উত্তর দেন।’ এ সময় তিনি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন।

কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, কার্যকরী সভাপতি আবু সাইয়েদ, জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print