প্রভাতী ডেস্ক: দুই বছর প্রেম এবং স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একসঙ্গে বসবাস করেও বিয়ে করতে অস্বীকার করেন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল হাসান। কিন্তু প্রেমিকা রোকসানা পারভীন স্মৃতি বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না। যার ধরুন তারই পাতা ফাঁদে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রেমিক চট্টগ্রামে দায়িত্বরত এএসপি কামরুল হাসান। মঙ্গলবার (২২অক্টোবর) রাতে রংপুর নগরীর বনানী পাড়ার একটি বাসা থেকে তাদের দু’জনকেই আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ৩৬তম বিসিএসে পুলিশে চাকরি পাওয়া কামরুল হাসান সদ্য প্রশিক্ষণ শেষে কাজে যোগ দিয়েছেন। তার বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়। রোকসানা পারভীন স্মৃতি রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ২০১৬ সালে ইংরেজিতে মাস্টার্স করেছেন। তার বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরের বালারহাট ইউনিয়নে।
জানা যায়, প্রায় দুই বছর স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে কামরুল ও স্মৃতি রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। সর্বশেষ তিন মাস আগে বনানী পাড়ার একটি বাসায় ওঠেন তারা। এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে কামরুলের আগামী সপ্তাহে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশে যোগ দেবার কথা। এজন্য তিনি রংপুর ছাড়তে চাইলে বিয়ের জন্য চাপ দেন স্মৃতি। এতে কামরুল হাসান অস্বীকৃতি জানালে মহিলা পরিষদে লিখিত অভিযোগ দেন স্মৃতি।
বিষয়টি গোপন রেখে কামরুল বনানী পাড়ার ওই বাসায় কবে যাবেন সেজন্য অপেক্ষা করেন স্মৃতি। গতকাল কামরুল বাসায় গেলেই বিষয়টি গোপনে মহিলা পরিষদকে জানান স্মৃতি। মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দ বাসায় গিয়ে কামরুলকে দেখার পর খবর দিলে কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে দু’জনকেই আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন রংপুর জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রুমানা জামান। খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা থানায় হাজির হলে কথা বলতে চাননি কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ। পরে রাত সাড়ে ১২টায় তিনি জানান, দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
পরে মহিলা পরিষদ, পারিবারিক এবং পুলিশ নিশ্চিত করেছে থানায় আটকের পর গভীর রাতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে কাজী ডেকে থানার পাশে হোটেল তিলোত্তমায় ৫১ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তাদের বিয়ে দেয়া হয়। তবে কাজীর খাতায় রেজিস্ট্রি করা হয় ২১ অক্টোবরের ব্যাক ডেটে।