প্রভাতী ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ছাত্রলীগের ১০ নেতার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় চকবাজার থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, আবরার নিহতের ঘটনায় তার বাবা মো. বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামাদেরও আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আবরার ফাহাদ রাব্বী (২২) বুয়েটের ইইই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সে বুয়েটের শেরেবাংলা আবাসিক হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর রুমে থেকে লেখাপড়া করত। ওই ছাত্রাবাসের কিছু ছাত্র আবরারকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মারধর করে গুরুতর জখম করে হত্যা করে।
বুয়েটের শেরেবাংলা হল কর্তৃপক্ষ, বুয়েটের কিছু ছাত্রের সঙ্গে আলোচনা করে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে আবরারের বাবা জানতে পারেন, ওই ছাত্রাবাসের ছাত্র মেহেদী হাসান রাসেল (বুয়েটের সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), মুহতাসিম ফুয়াদ (সিই বিভাগ, ১৪তম ব্যাচ), মো. অনিক সরকার, (সিই বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), মো. মেহেদী হাসান রবিন (সিই বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়ো মেডিকেল ইঞ্জি., ১৬তম ব্যাচ), মো. মনিরুজ্জামান মনির (পানিসম্পদ বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জি., ১৫তম ব্যাচ), মো. মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. মোজাহিদুল রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), খোন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (এমই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মো. আকাশ (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মো. শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জি., ১৭তম ব্যাচ), মো. শাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. তানীম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. মোর্শেদ (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. মোয়াজ (সিএসই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ) ও মুনতাসির আল জেমিসহ (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), অজ্ঞাতনামা কয়েকজন বুয়েট ছাত্র ৬ অক্টোবর শিক্ষার্থী আবরারকে তার শেরেবাংলা হলের রুম থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
পরদিন ৭ অক্টোবর রাত আড়াইটা পর্যন্ত ওই হলের রুম নম্বর ২০১১ ও ২০০৫-এর ভেতর নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ক্রিকেট স্টাম্প ও লাঠিসোটা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড মারধর করে।
এতে ঘটনাস্থলেই আবরার মারা যায়। মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামিরা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে আবরারের মৃতদেহ ফেলে রাখে।পরে কিছু ছাত্র আবরারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।