নিজস্ব প্রতিবেদক : সীতাকুণ্ডের যমুনা শীপ ব্রেকিংয়ে কর্মরত একজন শ্রমিকের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। আজ রবিবার সকাল ১০:৩০টার সময় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মৃত লাল মিয়ার ছেলে মো: আবু বক্কর ছিদ্দিকী(২৮)।
নিহতের সাথে কর্মরত শ্রমিকদের তথ্যমতে জানা যায়, জাহাজের একটি ভারী প্লেটের নীচে পড়ে তাদের সহকর্মী বক্করের মৃত্যু হয়। তারা জানায়, বক্কর ৩বছর ধরে যমুনা শীপ ব্রেকিংয়ে কর্মরত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক জানায়, মালিকপক্ষের গাফেলতির কারণে শিপ ব্রেকিংয়ে শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটে। প্রশাসন তাদের পক্ষে থাকে তাই নিহত শ্রমিকদের পরিবার ন্যায় বিচার পান না।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বলেন, দুপুর ১২টার দিকে নিহত শ্রমিক মো: আবু বক্কর ছিদ্দিকীকে জরুরী বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত বক্কর যমুনা শীপ ব্রেকিংয়ের কর্মরত শ্রমিক।
যমুনা শীপ ব্রেকিংয়ের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শাহজানীয়া শিপ কাটিংয়ের ম্যানেজার মেজবাহ
বলেন, কাজ করতে জাহাজে উঠার সময় পা পিছলে পড়ে তাদের শ্রমিক বক্কর মারা যায়। তার দাফন-কাফন খরচ কোম্পানি বহন করবে এবং তার পরিবারকে নগদ ৫লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে।
ঘটনার ব্যাপারে সীতাকুন্ড থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন বলেন, যমুনা শীপ ব্রেকিংয়ের একজন শ্রমিক জাহাজ থেকে পড়ে মারা যাওয়ার খবর তিনি পেয়েছেন।
মানবাধিকার সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগীয় নেতা মো: মাইন উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এলাকায় শ্রমিক নিহতের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে। আর এই ঘটনাগুলো শীপ ব্রেকিং সংশ্লিষ্টদের কাছে নিতান্তই তুচ্ছ ঘটনা। কারণ শ্রমিকরা মারা গেলে সেটার দৃশ্যমান কোন প্রতিকার হয় না। ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মালিকপক্ষ যদি একটা মানুষের জীবনের মূল্য ৫লক্ষ টাকা নির্ধারণ করেন তাহলে সেটা অত্যান্ত দুঃখজনক। জাহাজ ভাঙ্গা বাংলাদেশের অন্যতম একটি শিল্প, তাই শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের আরো সচেতন হওয়া উচিত।