শনিবার, ১০ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ১০ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ১০ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি

৫২টি খাদ্যপণ্যকে পুনরায় মানোত্তীর্ণ ঘোষণায় বিএসটিআই ম্যানেজড-ক্যাব

প্রভাতী ডেস্ক: সম্প্রতি ঘোষণাকৃত মানহীন ৫২টি খাদ্যপণ্যকে পুনঃনিরীক্ষার নামে মানোত্তীর্ণ ঘোষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ‘ম্যানেজ’ হয়েছে বলে মনে করছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

মঙ্গলবার (১১ জুন) ক্যাবের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিএসটিআই-এর মান পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ক্যাব।

বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় নিম্নমান প্রমাণিত হওয়ায় ৫২টি খাদ্যপণ্য অবিলম্বে বাজার থেকে প্রত্যাহারের জন্য গত ১২ মে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। যতক্ষণ পর্যন্ত ওই ৫২ পণ্য বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় পুনরায় উত্তীর্ণ না হচ্ছে, ততক্ষণ এসব পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেন আদালত।

বিবৃতিতে ক্যাব দাবি করেছে- হাইকোর্টে আইনি লড়াইয়ে হেরে গিয়ে নামি দামি প্রতিষ্ঠানগুলো বিএসটিআইকে ‘ম্যানেজ’ করে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ঘোষণার ১৭ দিনের মাথায় ওয়েলফুড ও মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, এসিআইয়ের লবণসহ বেশকিছু পণ্য পুনঃনিরীক্ষার মাধ্যমে মানোত্তীর্ণ ঘোষণা করে বিএসটিআই।

ক্যাব নেতারা বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়মে নিমজ্জিত বিএসটিআই একবার নিরীক্ষণ করে যে পণ্যকে মানহীন ঘোষণা করে, একই পণ্যকে পুনরায় মানোত্তীর্ণ ঘোষণা করে পুনঃনিরীক্ষায়। এই অবস্থায় বিএসটিআই-এর মান নিয়েই প্রশ্ন ওঠেছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিএসটিআই হাইকোর্টের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে।

পুনঃনিরীক্ষণ বিএসটিআইকে দিয়ে না করে তৃতীয় কোনো পরীক্ষাগারে হওয়া উচিৎ ছিল বলেও মনে করেন ক্যাব নেতারা।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন, ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী,চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম এবং দক্ষিণ জেলার সভাপতি আবদুল মান্নান।

যে ৫২টি পণ্য বিএসটিআই-এর পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছিল সেগুলো হচ্ছে- সিটি অয়েলের সরিষার তেল, গ্রিন বি চিংয়ের সরিষার তেল, শবনমের সরিষার তেল, বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের সরিষার তেল, কাশেম ফুডের চিপস, আরা ফুডের ড্রিংকিং ওয়াটার, আল সাফির ড্রিংকিং ওয়াটার, মিজান ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ন ডিউয়ের ড্রিংকিং ওয়াটার, ডানকান ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, আরার ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, দীঘি ড্রিংকিং ওয়াটার, প্রাণের লাচ্ছা সেমাই, ডুডলি নুডলস, শান্ত ফুডের সফট ড্রিংক পাউডার, জাহাঙ্গীর ফুড সফট ড্রিংক পাউডার, ড্যানিশের হলুদগুঁড়া, প্রাণের হলুদগুঁড়া, ফ্রেশের হলুদগুঁড়া, এসিআইর ধনিয়াগুঁড়া, প্রাণের কারি পাউডার, ড্যানিশের কারি পাউডার, বনলতার ঘি, পিওর হাটহাজারী মরিচগুঁড়া, মিষ্টিমেলা লাচ্ছা সেমাই, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মিঠাই-এর লাচ্ছা সেমাই, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই, এসিআইর আয়োডিনযুক্ত লবণ, মোল্লা সল্টের আয়োডিনযুক্ত লবণ, কিংয়ের ময়দা, রূপসার দই, মক্কার চানাচুর, মেহেদীর বিস্কুট, বাঘাবাড়ীর স্পেশাল ঘি, নিশিতা ফুডসের সুজি, মঞ্জিলের হলুদগুঁড়া, মধুমতির আয়োডিনযুক্ত লবণ, সান ফুডের হলুদগুঁড়া, গ্রিন লেনের মধু, কিরণের লাচ্ছা সেমাই, ডলফিনের মরিচগুঁড়া, ডলফিনের হলুদগুঁড়া, সূর্যের মরিচগুঁড়া, জেদ্দার লাচ্ছা সেমাই, অমৃতের লাচ্ছা সেমাই, দাদা সুপারের আয়োডিনযুক্ত লবণ, মদিনার আয়োডিনযুক্ত লবণ ও নুরের আয়োডিনযুক্ত লবণ।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print