
দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, যা সবসময়ই বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীদের আনাগোনা এবং মনোনয়ন প্রত্যাশা বেড়েছে। এর মধ্যে (বাকলিয়া-কোতোয়ালী) চট্টগ্রাম ৯ সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় এসেছেন তরুণ, ক্লিন ইমেজধারী রাজনৈতিক কর্মী ও সাংবাদিক নেতা আলমগীর নূর। এছাড়া তিনি দলের কাছে নতুন নেতৃত্বের সুযোগ সৃষ্টিরও দাবি জানিয়েছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ সম্পাদক, দৈনিক মানবকণ্ঠের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান, তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সংসদের চেয়ারম্যান তরুণ এই নেতা বলেন, রাজনীতি ও নির্বাচন একটি চলমান প্রক্রিয়া। যেকোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলে, বিশেষ করে বিএনপির মতো বৃহৎ দলে জাতীয় কিংবা স্থানীয় নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব ও প্রার্থীর আগমন খুবই স্বাভাবিক। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, শুধু নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির মধ্যে সংসদ সদস্য নমিনেশন প্রক্রিয়া সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়, বরং তৃণমূল থেকে উঠে আসা এবং দীর্ঘ সময় ধরে দলের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা নতুন ও তরুণদের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হওয়াকে অনেকে ব্যবসা হিসেবে দেখলেও তার কাছে এটি জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতা এবং তাদের সেবা করার একটি পবিত্র উপায়। তার মতে, একজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে সমাজ এবং দেশের উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখা যায়। তিনি তার মরহুম পিতা চট্টগ্রামে জাগদল তথা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম , চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি (১৯৭৯ সাল) বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ সওদাগর এবং বিএনপির জন্য তার পরিবারের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলে তার পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সাংগঠনিক চিন্তাভাবনার প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা এবং আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তাধারায় দলকে ঢেলে সাজাতে চান। এই লক্ষ্যে তিনি শিক্ষিত, রাজনৈতিকভাবে সচেতন এবং বিশেষ করে ওয়ান-ইলেভেনের সময় থেকে নির্যাতিত ও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা তরুণদের অগ্রাধিকার দিয়ে সাংগঠনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে আনতে চান। এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ও নতুন প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, তা প্রশংসনীয়।
আলমগীর নুর আরো বলেন, দলের উচিত পুরাতন নেতৃত্বের পাশাপাশি অন্তত ২৫% আসনে নতুন এবং ফ্রেশারদের মনোনয়ন নিশ্চিত করা। এতে একদিকে যেমন দলের মধ্যে নতুন নেতৃত্বের বিকাশ হবে, তেমনি জনগণও তাদের প্রতি আস্থা ফিরে পাবে। তার মতে, তারেক রহমানের এই দূরদর্শী নেতৃত্ব দেশের রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। তিনি আশাবাদী যে, দল তার এই যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করবে এবং আগামী নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগরীর (কোতোয়ালী- বাকলিয়া) সংসদীয় ৯ আসনে তাকে মনোনয়ন দিয়ে জনগণের সেবার সুযোগ দেবে।
আলমগীর নুর চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সিনিয়র নেতাদের ও বিএনপি বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের এবং কোতোয়ালী বাকলিয়া চট্টগ্রাম- ৯ সংসদীয় আসনের জনসাধারণের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।