প্রভাতী ডেস্ক: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিং উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের নিমন্ত্রণ করে এনে বের করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করে নির্বাচন কমিশন।
আজ শনিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে দিকে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সাধারণত এসব বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার স্বাগত বক্তব্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংবাদ কর্মীরা সভাকক্ষের ভেতরেই অবস্থান করেন। আজও এই দাবি জানানো হলে তাতে সায় দেয়নি নির্বাচন কমিশন। এ সময় ইসি কমিশনারদের একে অন্যের সঙ্গে কানাকানি করতে দেখা যায়। পরবর্তীতে সংবাদ কর্মীদের অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে যেতে বলা হয়।
বৈঠক আরম্ভ হওয়ার পর নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন। এর পরই সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) সাংবাদিকদের এই অনুষ্ঠানে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান। ডেকে এনে এভাবে বের করে দেওয়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
সভাস্থল থেকে বেরিয়ে আসার পর এক গণমাধ্যমকর্মী বলেন, ‘এভাবে বের করে দেওয়ায় সংবাদ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এতে আমরা কষ্ট পেয়েছি।’
পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,আসলে এটা উচিত হয়নি। ‘আগামীকালও (রবিবার) একই প্রোগ্রাম আছে।কাল থেকে থাকতে দেব।’
এ সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উপলক্ষে ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, শেরপুরসহ কয়েকটি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, স্থানীয় পর্যবেক্ষক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সভাসহ সকল ব্রিফিং অনুষ্ঠানেই সিইসি ও ইসি সচিবের বক্তব্য ধারণ করতে পেরেছে সাংবাদিকরা। তাদের বক্তব্যের পর দিনের মূল কার্যসূচি আরম্ভের আগে গণমাধ্যমকর্মীদের বের করে দেওয়া হতো। কিন্তু আজ প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন রীতি ভেঙে অনুষ্ঠানের শুরুতেই গণমাধ্যমকর্মীদের বের করে দেওয়া হলো।