
সদ্য ঘোষিত দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি থেকে ইদ্রিস মিয়াকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে দ্রুত অপসারণ না করলে রাজপথে কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা । বৃহস্পতিবার(৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওতাধীন বিএনপির হামলা মামলার শিকার নেতাকর্মীদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য প্রদান করায় এই দাবি জানানো হয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত (৫ ফেব্রুয়ারি) বুধবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া অনলাইন টিভিতে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২০১৮ সালের পর ২০২৪ সাল পর্যন্ত গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি এবং যেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল তারা নিজেরাই অতি উৎসাহী হয়ে মামলার আসামি হয়েছিল। বিএনপির নির্যাতিত নেতাকর্মীরা ইদ্রিস মিয়ার ঔদ্ধত্যপূর্ণ নেতিবাচক এই বক্তব্যে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেছে। তারা বলেন, ইদ্রিস মিয়া একজন সুবিধাবাদী ও আওয়ামীলীগের দোসর ছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্ব ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ইদ্রিস মিয়া একদিনের জন্যও রাজপথের আন্দোলনে ভূমিকা রাখেনি এবং একারনে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। তার মত একজন সুবিধাবাদী নেতার মুখে ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগের হাতে হামলা মামলায় নির্যাতিত বিএনপি নেতাকর্মীদের কটাক্ষ করে যেই মন্তব্য করেছে সেটা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড। তার এই বক্তব্য নির্যাতিত নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন বিএনপি নেতা আবু আহমদ, গাজী আবু তাহের, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম, পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মাবুদ, আবুল কাশেম, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জামাল চেয়ারম্যান, ইব্রাহিম সওদাগর, নাছির উদ্দীন, মাহাবুবুল আলম, মুহাম্মদ শরীফ, আব্দুল মান্নান তালুকদার, এস এম হাবিবুল্লাহ, নাজিম উদ্দীন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হামিদুর রহমান পেয়ারু, ইয়াছিন আরাফাত, মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মো: মহসিন, হাবিবুর রহমান রিপন, ওবায়দুল হক রিকু, সেকান্দর হোসেন নয়ন, ইমরানুল হক বাহাদুর, আলাউদ্দিন, শাখাওয়াত হোসেন, আবু নোমান লিটন, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো: ফিরোজ, শাহাদাৎ হোসেন, এস, এম নয়ন, আশরাফুল আলম সোহেল, রফিকুল হাসান, মন্নান হোসেন, নুরুল আলম, আহমদ উল্লাহ, আবদুর রহমান, মাহাবুব আলম, জামাল উদ্দীন, জসীম উদ্দীন, হাবিব, জামাল খাঁন, আরিফুল, আবু আহমেদ, বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার বিএনপি, অঙ্গ ও সংগঠনের নির্যাতিত নেতাকর্মীরা।