নিজস্ব প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় আওলাদে রাসুল শাহজাদা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামেদ শাহ’র নেতৃত্বে চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে নবী প্রেমীদের গণ জোয়ার সৃষ্টি হয়।
আজ বুধবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকা থেকে জশনে জুলুস শুরু হয়। জামেয়া মাদ্রাসার মাঠ পেরিয়ে আসার পরই লাখ লাখ সুন্নি জনতার অংশগ্রহণে জনসমুদ্রে পরিণত হয় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী।
‘ইয়া নবী সালাম আলাইকা, ইয়া রাসুল সালাম আলাইকা’, ‘সবচে আওলা ওআ’লা হামারা নবী’, ‘সবচে বালা ওআ’লা হামারা নবী’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের রাজপথ।
সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জামেয়া ময়দানে এসে জড়ো হতে থাকেন নবীর প্রেমীরা। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা লোকজনও বিবিরহাট, মুরাদপুর থেকে জশনে জুলুসে যোগ দেন।
জুলুস শুরুর আগে আলমগীর খানকায়ে কাদেরিয়ায় মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়।
ষোলশহর আলমগীর খানকায়ে কাদেরিয়া থেকে সাড়ে ৯টায় ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস শোভাযাত্রা বের হয়। সেখান থেকে নগরের বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জারপুল, কাতালগঞ্জ হয়ে অলিখাঁ মসজিদ, চকবাজার, সরাসরি প্যারেড ময়দানের উত্তর পার্শ্ব হয়ে প্যারেড ময়দানের পূর্ব পার্শ্ব, চন্দনপুরা, সিরাজুদ্দৌল্লাহ রোড, দিদার মার্কেট, দেওয়ান বাজার, আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, কদম মোবারক, চেরাগী পাহাড়, জামালখান, প্রেস ক্লাব, খাস্তগীর স্কুল হয়ে গণি বেকারী, চট্টগ্রাম কলেজ, প্যারেড ময়দানের পশ্চিম পার্শ্ব হয়ে পুনরায় অলিখাঁ মসজিদ চকবাজার, কাতালগঞ্জ, মির্জারপুল, মুরাদপুর, বিবিরহাট প্রদক্ষিণ করে আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া প্রাঙ্গণে এসে শোভাযাত্রা শেষ হয়। সেখানে সৈয়দ হামেদ শাহর ইমামতিতে জোহরের নামাজ আদায় করবেন লাখ লাখ মুসলিম জনতা। এরপর মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শেষ হয়।
এবারের জশনে জুলুসে অংশ নেন আল্লামা মুফতি ওবায়দুল হক নঈমী, জামেয়ার অধ্যক্ষ মুফতি মুহাম্মদ অছিয়র রহমান, মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভী, আনজুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার প্রমুখ।
আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন জানান, এবারের জুলুসে উত্তরবঙ্গসহ প্রায় ৪০টি জেলা থেকে কয়েক লাখ নবী প্রেমী যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলা, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজার থেকেও ভক্তরা বাস, ট্রাক ও মাইক্রোযোগে মাহফিলে এসেছেন। জুলুসে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ৫০ লাখের কাছকাছি বলে দাবি করেন তিনি।