Search

বুধবার, ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার, ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বুধবার, ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

মেলা শুরু ২৪ এপ্রিল

এবারও রাস্তায়, লালদিঘি মাঠে হচ্ছে না বলীখেলা

বলীখেলার ১১৪তম আসর অনুষ্ঠিত হবে

ঐতিহাসিক আব্দুল জব্বারের বলীখেলা এবারও ফিরছে না লালদিঘি মাঠে। গেলোবারের মতো এবারও বলীখেলা লালদিঘি ময়দানের পরিবর্তে অনুষ্ঠিত হবে মাঠ লাগোয়া মাহবুব উল আলম চৌধুরী সিটি করপোরেশন পাবলিক লাইব্রেরির সামনের সড়কে মঞ্চ বানিয়ে। আর মেলা বসবে লালদিঘি মাঠের চারপাশ ঘিরে। সংস্কার করে লালদিঘির মাঠ উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরও সেখানে কেন বলীখেলা হবে না, এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। ৭ এপ্রিল  (শুক্রবার) বিকেলে নগরীর লালদিঘিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন লাইব্রেরি মিলনায়তনে ‘আব্দুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা কমিটির’ উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলীখেলা ও বৈশাখী মেলার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুল জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সভাপতি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী জানিয়েছেন, এ বছর বলীখেলার ১১৪তম আসর অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছরের মত এবারও ১২ বৈশাখ অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল বলীখেলা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে তিন দিনের বৈশাখী মেলা হবে। মেলা শুরু হবে ২৪ এপ্রিল। চলবে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০২২ সালে জমকালো আয়োজনে ১১৩ তম আসরের প্রস্তুতি নেয়া হলেও শেষ মুহূর্তে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। লালদিঘির মাঠ বন্ধ এবং পবিত্র মাহে রমজান বিবেচনায় বলীখেলা ও মেলা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিল কমিটি। বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখে আয়োজনের দায়িত্ব নেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। লালদিঘি মাঠের পরিবর্তে গোলচত্বরে বলীখেলা অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জব্বারের বলীখেলাকে বিশ্বদরবারে সুপরিচিত করতে ‘আব্দুল জব্বার স্মৃতি বলী প্রশিক্ষণ একাডেমি’ করার ঘোষণা দেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ইতিহাস-ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছর ১২ বৈশাখ জব্বারের বলীখেলা হয়। এই বলীখেলা শুধু খেলা নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সারাবিশ্বে এই বলীখেলাকে ছড়িয়ে দিতে আমরা একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি করব।’

কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী বলেন, টানা দুই বছর আমাদের জব্বারের বলীখেলা হয়নি। গতবছর মেয়রের পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা করেছিলাম। এবারও আমরা কোনো স্পন্সর পাইনি। মেলার সময় ঈদের কাছাকাছি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এবারও মেয়র আমাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল, সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আকতার আনোয়ার চঞ্চল, তাপস দে, অপূর্ব বড়ুয়া, চসিক কাউন্সিলর নীলু নাগ উপস্থিত ছিলেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print