Search

বৃহস্পতিবার, ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বৃহস্পতিবার, ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বৃহস্পতিবার, ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

তদন্তের পর প্রতিবেদন দিতে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে নির্দেশ

চট্টগ্রামে যুগান্তরের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাবরের মামলা

বাবর যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক

সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যুগান্তরের এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।বুধবার(২৯ মার্চ) ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর যুগান্তরের প্রতিবেদক মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে এ মামলা করেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবীরের আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তা তদন্তের পর প্রতিবেদন দিতে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

ঢাকায় প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার খবর নিয়ে আলোচনার মধ্যে চট্টগ্রামে আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার এ খবর এল।

যুগান্তরের অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাবরকে ‘দখলবাজ, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার’ হিসেবে সম্বোধন করে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করে মানহানি করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫, ২৬ ও ২৯ ধারায় মামলাটি করা হয়। ওই সংবাদটি আসামির ফেইসবুক আইডি থেকে শেয়ার করেও মানহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়।

মামলায় আসামি হিসেবে লাবলুর ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার বারিধারার প্রগতি স্মরণীর দৈনিক যুগান্তর কার্যালয়।

মামলার বাদী বাবর যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক। তিনি চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৩ মার্চ রাত ১২টা ১০ মিনিটে দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন ভার্সনে ‘দুবাই ফেরত শাহ আলম সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রেল’ শিরোনামের সংবাদটি প্রকাশিত হয়।

ওই সংবাদে শাহ আলম সিন্ডিকেটের সঙ্গে বাবরের সম্পৃক্ততা ও রেলের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগের কথা প্রকাশ করা হয়।

সাবেক যুবলীগ নেতা হেলাল এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। পূর্ব রেলের সদর দপ্তর সিআরবি এলাকায় রেলের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকে ঘিরে হওয়া জোড়া খুনের মামলায় তাকে আসামি করা হলেও অভিযোগপত্র থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলায় যুগান্তরে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বাবরের যে বক্তব্য ছাপা হয়েছিল তাও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

পরদিন ১৪ মার্চ প্রতিবেদক লাবলুর ফেইসবুক পেইজ থেকে একই সংবাদ শেয়ার করা হয় জানিয়ে এজাহারে বলা হয়, “প্রকাশিত সংবাদে অভিযোগকারীকে (বাদী) ‘কুখ্যাত সন্ত্রাসী, অস্ত্রদাতা, দখলবাজ, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার’ হিসেবে দাবি করা হয়। অথচ অভিযোগকারীর (বাবর) নামে বাংলাদেশের কোনো আদালতে কোনো ফৌজদারি মামলা কিংবা অভিযোগ পর্যন্ত নেই।”

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print