আন্তর্জাতীক ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে বন্দী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুসলিম স্নায়ুবিজ্ঞানী পাকিস্তানি নাগরিক ড. আফিফা সিদ্দিকী। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আফিফা লিখেছেন, ‘আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের
পাকিস্তানভিত্তিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি কনসাল জেনারেল আয়েশা ফারুকী সম্প্রতি আফিফা সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এই চিঠি দেন। বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে ইমরান খানের সহযোগিতা চেয়েছেন এই মুসলিম বিজ্ঞানী। ওই চিঠিতে আফিফা ইমরান খানকে তার সম্পর্কে সচেতন থাকতে বলেন।
আফিফা সিদ্দিকী ইমরান খানের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘আপনি (ইমরান খান) সবসময় আমার মুক্তির জন্য চেষ্টা করেছেন। আপনি আমার দেশের নায়ক। আপনাকে জানাচ্ছি, আমাকে অপহরণ করে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।’
উল্লেখ্য, ড. আফিফা করাচীর সম্ভ্রান্ত ও উচ্চশিক্ষিত পরিবারে ১৯৭২ সালের ২ মার্চ জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি একজন কুরআনের গবেষক ছিলেন।পিএইচডি ডিগ্রিধারী এই নারীকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ২০০৩ সালে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আল কায়েদার সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে পাকিস্তানের করাচির রাস্তা থেকে তার তিন সন্তানসহ গ্রেফতার করে।
পরে প্রচলিত আইনের আওতায় না এনে পাকিস্তানের কারাগারে গ্রেফতার না রেখেই তাকে আফগানিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে ৫ বছর বন্দী করে রাখা হয়।
বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল মেডিকেল সেন্টারে বন্দী রয়েছেন। আমেরিকার একজন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তাকে ৮৬ বছরের এ কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এর আগে গত জুন মাসে আফিফা সম্পর্কে পাকিস্তানি দূতাবাস একটি গোপন প্রতিবেদন তৈরি করেছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল, আফিফাকে গ্রেফতারের পর শারীরিক ও যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষকেও অনুরোধ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনেক মাধ্যমে ড.আফিফা আমেরিকার কারাগারে মারা গেছে মর্মে লিখালেখি করা হয়। এখন ইমরানকে চিঠি দেওয়ার পর সেই ধারণার অবসান হলো।