মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই শাবান ১৪৪৬ হিজরি

তৃণমূলের প্রশ্ন এই ‘মিউ নেতারা’ আন্দোলন করে সরকার পতন কেমনে করবেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে ঐক্যফ্রণ্টের নেতাদের এই ঘর্মাক্ত অবস্থা কেন? সভা সমাবেশে মান্নার কথা শুনলে মনে হয় তাঁর মত  জাদরেল নেতা এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সামনে এলে মনে হয় একটা বিড়াল মিউ মিউ করে ডাকছে।

মওদুদ সুযোগ পেয়েই নিজের বাড়ির কথা তুলেন, যেন রাজনৈতিক উৎকন্ঠা নয় যে কোনো মূল্যে তার গুলশানের বাড়ি ফিরে পাওয়াই এখন তার মূল লক্ষ্য। এর আগেও ডাক্তার জাফরুল্লাহকে বলতে শুনেছি তার ১৪ একর জমির কথা। প্রথম সংলাপের দিন প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়েই তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন তার ১৪ একর জমি না পাওয়ার কথা।

প্রসঙ্গত, বুধবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ শেষ হওয়ার পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা কথা বলেন। মির্জা ফখরুল কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভালো কথা। দেখা করতে চান, অবশ্যই দেখা করবেন। আমি বলে দেব।’

ব্যারিস্টার মওদুদ প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আমার বাড়িটা নিয়ে গেলেন কেন নেত্রী?’ জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাড়িটা নেওয়া হতো না। আপনি জালিয়াতি করতে গেছেন কেন? আদালত বলেছে, আপনাদের বাড়ি না। বাড়িটা যদি আপনি কবি জসীমউদ্‌দীনের মেয়ের নামে লিখে দিতেন, তাহলে আমি কিছুই করতাম না। আপনি বাড়ি নিয়ে দিছেন আপনার ভাইয়ের নামে। আমাদের ফরিদপুরের মেয়ের নামে দিলে কিন্তু আমি এটা নিয়ে নাড়াচাড়া করতাম না।’ মওদুদ বলেন, ‘তাহলে আমি এখন তার নামে ফেরত দেব।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘না, না আপনাকে আর বিশ্বাস করা যায় না।’

মাহমুদুর রহমান মান্নাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ও কী কথা বলবে! সকালে একট বিকেলে আরেকটা বলে। ওর সঙ্গে কী কথা বলব। সে নির্বাচন করতে চায়, করুক।’ এ সময় মান্না বলেন, ‘আমি জোট ছাড়া কীভাবে নির্বাচনে আসি?’ জনসভায় দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে মান্না বলেন, পত্রিকায় যা লেখা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলে রেজাউল করিম বলেন, ‘মান্না বলেছেন, জীবন দিয়ে দিব, তবুও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ছাড়ব।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মান্না তুমি এসব কথা বলেছ?’ মান্না বলেন, ‘আমি ওখানে যা বলেছি, আমার কথা পত্রিকায় মিসকোট করা হয়েছে। আমি এমন কথা বলিনি।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টেলিভিশনে সবকিছু আছে।’

সংলাপে এই ধরণের আলোচনার কারণে বিএনপি’র তৃণমূলে অনেকটা হতাশা বিরাজ করতেছে। তারা মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর রক্তচক্ষুকে যারা ভয় পায় তারা কেমনে আন্দোলন করে সরকার পতন করবেন?
তৃণমূলের ধারণা শেখ হাসিনা যদি মনোনয়ন দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন তাহলে বিএনপি ছাড়া ঐক্যফ্রন্টের অধিকাংশ নেতা বেঈমানী করে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে পারেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print