বুধবার, ২রা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার, ২রা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বুধবার, ২রা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

ডলার সংকট কাটবে জানুয়ারিতে বাধা নেই এলসিতে : গভর্নর

প্রভাতী ডেস্ক: বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে আমদানি বিল পরিশোধ করতে গিয়ে যে ডলার সংকট তৈরি হয়েছে তা আগামী জানুয়ারি থেকে আর থাকবে না বলে আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের। পণ্য আমদানির নামে বেশি দাম দেখিয়ে ঋণপত্র খোলা হলে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক ও ব্যাংকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। পণ্য আমদানিতে অস্বাভাবিক পরিমাণে ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছিল জানুয়ারি থেকে জুনে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি আমরা কমিয়েছি। আগামী জানুয়ারি থেকে ডলার সংকট আর থাকবে না বলে আশা করছি।

বৃহস্পতিবার(১৭ নভেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বিষয়ক এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আয়োজিত এ সেমিনারে গভর্নর রউফ তালুকদার বলেন, ডলার সংকটে আমদানি করা যাচ্ছে না বলে যে কথা বলা হচ্ছে তা মোটেই ঠিক নয়। পণ্য আমদানিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না। সঠিক দরে এলসি খুলতে বাধা নেই। ব্যাংক এলসি খুলতে পারলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই।
পণ্য আমদানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে
তিনি বলেন, আগে গড়ে প্রতি মাসে আট বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হত। এখন তা ৫ বিলিয়নে নামিয়ে আনা হয়েছে। এতে ডিসেম্বর নাগাদ ব্যালেন্স অব পেমেন্টের যে ঘাটতি তা আর থাকবে না। বর্তমান যে ঘাটতি রয়েছে তা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আমদানি ও রপ্তানির আড়ালে বিদেশে অর্থপাচারের পুরনো ‘ওভার ইনভয়েসিং’ ও ‘আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের’ অভিযোগটি এখন বাস্তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও দেখতে পাচ্ছে বলে বলছেন গভর্নর। ‘হুন্ডি’র লেনদেন প্রক্রিয়া নিয়ে সেমিনারে তিনি জানান, আন্ডার ইনভয়েসিং (প্রকৃত দরের চেয়ে কম মূল্য দেখিয়ে রপ্তানি) এর মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। কম দর দেখানো অর্থ আবার দেশে আসছে হুন্ডি হয়ে।

তিনি আরো বলেন, আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে হুন্ডিকে সহায়তা করা হচ্ছে, যা সরকারের রাজস্ব আহরণকেও বঞ্চিত করছে। ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের কারণে একটি অসামঞ্জস্যতা দেখা যাচ্ছে আমদানি-রপ্তানিতে। এটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করছি।
প্রবাসীদের রেমিটেন্স ব্যাংকিং চ্যানেলে আনতে আরও গুরত্বারোপ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিং শূন্যতে নামিয়ে আনত পারব বলে আশা করছি আমরা।

ব্যাংক ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে বেধে দেওয়া প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়িয়েছে। আমরা যদি সুদের হার বাজারের উপর ছেড়ে দেই তাহলে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থানে প্রভাব পড়বে। প্রতি বছর যে ২০ লাখ নতুন বেকার চাকুরি বাজারে প্রবেশ করছে তাদের কর্মসংস্থান হবে না। এখন টাকার মান কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলেছ বলে জানান তিনি।

সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, রিজার্ভের তথ্য কেন আইএমএফ বলবে। এটি আমাদের, আমরা বলব। এজন্য সরকার আছে, বাংলাদেশ ব্যাংক আছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print