
প্রভাতী ডেস্ক: আগামী ১০ দিনের মধ্যে সবগুলো খাল ও নালার বাঁধ অপসারণ করে পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থাকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। রোববার (২৯ মে) সকালে আনন্দরকিল্লাস্থ চসিক পুরাতন নগর ভবনের কে.বি আব্দুচ সাত্তার মিলনায়তনে চসিকের ১৬তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
এসময় মেয়র বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে। কয়েক দিন আগে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বহদ্দারহাট, মুরাদপুরসহ অনেক এলাকায় জলজটের কারণে যে নাগরিক ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তা সত্যিকার অর্থে দুঃখজনক। জলাবদ্ধতা নিরসনে বিগত কয়েক বছর ধরে মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে অনেকগুলো খাল ও নালায় বাঁধ দিতে হয়েছে এবং খাল-নালা ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এই বাঁধগুলো সরিয়ে বৃষ্টির পানি চলাচলের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা ও সিডিএকে বার বার তাগাদা দেয়ার পরও তারা বাঁধ অপসারণ করেন নাই। যে কারণে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরীতে জলজটের সৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সচিব, বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ।
মেয়র চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কোন প্রকল্পটি অগ্রধিকার দেয়া হবে তা ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মতামত নিতে প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশনা দেন। তিনি হাটহাজারী রোডের কাজ চসিক নিজস্ব এসফল্ট প্লান্টের মাধমে দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা ও বারইপাড়া খাল খননের কাজ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করারও নির্দেশনা দেন এবং প্রতিমাসে কাজের অগ্রগতি প্রতিবেদন আকারে জমা দেয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আন্তরিক হয়ে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে ২৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পসহ ও ১৩০০ কোটি টাকার খাল খনন প্রকল্প চসিককে দিয়েছে তা দ্রুত ও স্বচ্ছতার সাথে বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করেন।
এছাড়াও তিনি মেগা প্রকল্পের বাইরে নগরীতে ২১টি খাল রয়েছে তার ওপর সম্ভাব্যতা যাচাই ও প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষট প্রকৌশলীদের নিদের্শনা দেন এবং এলইডি প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসুত্রতা হচ্ছে তা নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে সভাকে অবহিত করেন।